রবিবার ● ৬ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে ট্রাকে ট্রাকে সংঘর্ষ : আহত-২
ঘোড়াঘাটে ট্রাকে ট্রাকে সংঘর্ষ : আহত-২
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ট্রাকে ট্রাকে সংঘর্ষে এক গাড়ীর ড্রাইভার ও অপর গাড়ীর হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার ৬ আগস্ট সকাল ৭ টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের মিশন নামক এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ দূর্ঘটনায় দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, দিনাজপুর সদর উপজেলার ভাতপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ট্রাক ড্রাইভার শাহিন আলম (২৯) ও অপরজন হলেন, যশোর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে ট্রাকের হেলপার সাব্বির হোসেন (১৬)।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুর গামী একটি ট্রাক ( যাহার নম্বর ঢাকা মেট্রো ট-২৪-৪৪১০) মিশন নামক এলাকায় রাস্তার পাশে থামিয়ে গাড়ীর টুকটাক মেরামতের কাজ করেছিলেন। একই সময় একই দিক থেকে আসা একটি মালবাহী বড় ট্রাক ( যাহার নম্বর ঢাকা মেট্রো ট-২২-৪৬০১) থামিয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা দিলে দুটি ট্রাকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে রাস্তার পাশে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে। এসময় থামিয়ে থাকা ট্রাকের ড্রাইভার আহত হন ও অপর ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত অবস্থায় গাড়ীর কেবিনে আটকা পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আটকা পড়া হেলপার সহ অপর ড্রাইভারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ নিরঞ্জন সরকার জানান, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের কেবিনের কিছু অংশ কেটে ট্রাকের হেলপার ও অপর গাড়ীর ড্রাইভারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রাক দুটি ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
ঘোড়াঘাটে আশ্রয়ণের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের আত্মহত্যা
ঘোড়াঘাট :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শমসের আলী নামের এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি উপজেলার ৪নং ঘোড়াঘাট ইউপির কুন্দারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
শনিবার ৫ আগস্ট রাত ৮ টার সময় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯ টার সময় মৃতের ঘরের শয়নকক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ও বিভিন্ন মৌসুমীকে দিনমজুরী কাজ করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরটি পাওয়ার পর থেকে তিনি স্ত্রী বিলি বেগমের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তার ৪ ছেলে সকলেই অটোভ্যান চালক ও সকলেই আলাদাভাবে বসবাস করতো।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শমসের আলী দীর্ঘদিন থেকে মানুষিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৩/৪ দিন পূর্বে তিনি নিজেই নিজের পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছিলেন। এখনো তার পেটে সেলাইয়ের দাগ আছে। ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ঘরে সিলিং এ লোহার রডের সাথে ওড়না ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে মানুষিক ও আর্থিক সমস্যাই তার আত্মহত্যা কারণ। এ বিষয়ে তারপরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন এবং পরিবারের কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।