বৃহস্পতিবার ● ৭ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা : ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা
চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা : ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা
রাউজান প্রতিনিধি :: (৭ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১০মিঃ) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্নাতক পর্যায়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বৃহসপতিবার ৭ এপ্রিল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রদের আজ বিকালে ৩টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামীকাল ৮ এপ্রিল সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে ¯স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি চলবে।
আজ সকাল সাড়ে দশটায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, প্রভোস্ট এবং রেজিস্ট্রারের সমন্বয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার সিদ্ধান্ত ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকার বিষয় বিবেচনা করে একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়। চুয়েট সূত্রে জানা যায় ৬ষ্ঠ দিনের মতো আজও সকাল থেকে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কর্মসূচী চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কাপ্তাই রোডে মানববন্ধ ও গাড়ী চালকদের উদ্ভুধ করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। আন্দোলনরত ছাত্ররা জানায়- আমাদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ন আজও আমরা শান্তিপুর্ন ভাবে কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের দাবী পুরণের কোন ধরনের পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে চুয়েটের শান্ত পরিবেশ কে অশান্ত করে তুলছে। চুয়েট বন্ধ হলেও আন্দোলনের কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ৯ দফা দাবী আদায়ের পক্ষে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা। উল্লেখ্য চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের মেধাবী ছাত্র মোঃ মুহাইমিনুল ২৯ মার্চ মদুনাঘাট এলাকায় অটোরিকশায় লেগুনায় মর্মান্তিক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মার্চ থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ কিছু দাবী প্রদান পূর্বক সকল একাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস ও পরীক্ষা) বর্জন করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে দফায় দফায় তালা লাগিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুত্রে জানা যায় ২৯ মার্চ এর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ছাত্রদের দাবী নিয়ে দফায় দফায় সভায় মিলিত হয়। সভাসমূহের সিদ্ধান্ত ক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের সকল দাবীর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং তা সময়ে সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অবহিত করা হয়। এরপরও ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা কার্যক্রমে যোগদান না করে পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) এর পদত্যাগের নতুন দাবীসহ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত রাখে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে সিদ্ধান্ত সমূহ নেয়া হয়।
এরিপোট লেখা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা অবস্থান ধর্মঘট অব্যহত রেখেছে।