মঙ্গলবার ● ৮ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় জামাই-শশুর আহত
মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় জামাই-শশুর আহত
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নে মো: হাফিজুরকে (৪৬) হামলা করে রক্তাত্ব জখম করে একই এলাকার চিন্তিত মাদক ব্যবসায়ী রানা হোসেন (১৮), রাশেদ (২৬) ও তার মাদক ব্যবসায়ী পরিবার। মারধরের পর আহত অবস্থায় তাকে কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত হাফিজুরকে ভর্তি করা হয়। কয়া ইউনিয়নের ত্রিমোহিনী বাজারে গত রবিবার ৬ তারিখ দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমারখালি থানায় ভুক্তভোগী হাফিজুরের জামাই হাফিজুল বাদী হয়ে কুমারখালি থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পুলিশের তালিকাভুক্ত ও একাধিক মাদক মামলার আসামী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নওশেদ আলীর ছেলে রানা, তার ভাই রাশেদ ও নওশেদ আলীর স্ত্রী মাবিয়া খাতুন (৪২) ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাফিজুর ও হাফিজুলকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।
উল্লেখ্য যে, বিকাল ৩ ঘটিকার সময় আসামীদের বাড়ীর সামনে মাদক কেনা বেচাকে কেন্দ্র করে উজ্জল হোসেন নামের একজনকে রানা মারধর করিতে থাকে। ঐ সময় হাফিজুল মারধর করতে নিষেধ করলে মাদক ব্যবসায়ী রানা তাহার হাতে থাকা কাঠের বাটাম দিয়া তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারী আঘাত করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। ঠিক ঐ সময় হাফিজুলের শশুর হাফিজুর ঠেকাতে আসলে রানা ও তার ভাই রাশেদ হত্যার উদ্যেশে তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাথারি মাথায় আঘাত করলে ডান হাত দিয়া ঠেকাইলে ডান হাতের কব্জির হাড় ভেঙ্গে যায় ও রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ২ নং আসামী রাশেদ তাহার এতে থাকা হাতুড়ি দিয়া পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে হাফিজুরের মাথায় আঘাত করিলে ডান হাত দিয়া ঠেকাইলে ডান হাতের শাহাদত আঙ্গুলে লাগিয়া আঙ্গুল ফাটিয়া গুরুতর রক্তাক্ত যখম হয়। সে সময় তাদের চিৎকারে পাশ্ববর্তী বাসিন্দা মোঃ তুষার আহম্মেদ, হৃদয় হোসেন, শিপন শেখ সহ আরও অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটিয়া আসিলে আসামীদ্বয় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাইয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আহতদেরকে দ্রুত কুমারখালী হাসপাতালে জন্য ভর্তি করেন এলাকাবাসী।
সূত্র মতে, কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক মাদক মামলার আসামী কয়া ইউনিয়নের মোঃ নওশেদ আলীর আপন দুই সন্তান রাশেদ ও রানা হোসেন। ইতিপূর্বে র্যাবের হাতে এক কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও ৮০ পিস টাপেন্টাডল নিয়ে ধরা পরে রানা। উক্ত মামলায় জামিনে বের হয়ে পূনরায় ব্যবসা শুরু করলে ৩০০ পাতা টাপেন্টা নিয়ে মিরপুর থানা পুলিশের হাতে ধরা পরে। এই মামলা থেকেও জামিন পেয়ে একচেটিয়া মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রানা ও রাশেদ। তাদের এই মাদক ব্যাবসাকে কেন্দ্র এলাকায় মাঝে মধ্যেই ইতিপূর্বে মারামারি রয়েছে। এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ কয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। অবিলম্বে এই মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবিও জানিয়েছেন তারা কিন্তু কোন প্রকার সূফল পাচ্ছেনা স্থানীয়রা।
এবিষয়ে কুমারখালি থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে এখনও কোন অভিযোগ আসেনি তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়া জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী : ডিসি এহেতেশাম রেজা
কুষ্টিয়া :: নতুন ইতিহাসের পথে কুষ্টিয়া। আগামী ৯ আগস্ট সকালে প্রধানমন্ত্রী কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলা ১৬০টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর প্রদানের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়াকে ভূমিহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করবেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবিষয়ে গত সোমবার ৭ তারিখ সকালে সাংবাদিকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা। তিনি বলেন, এর আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১৪৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ১৩৫টি, মিরপুর উপজেলায় ৩১৭টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ২৫৯টি, দৌলতপুর উপজেলায় ১৯০টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে জমির দলিল ও ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে উক্ত উপজেলাসমূহকে ভূমিহীন, গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। কুষ্টিয়া জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনের অভিশাপ থেকে মুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ে নতুন করে যারা গৃহহীন, ভূমিহীন হয়ে পড়বে তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে জমিসহ গৃহ প্রদান করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাসরিন বানু, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি)র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার নেতৃত্বে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।