বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মোরেলগঞ্জে কালভার্টটি যেন মরণ ফাঁদ : জনদুর্ভোগ
মোরেলগঞ্জে কালভার্টটি যেন মরণ ফাঁদ : জনদুর্ভোগ
এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাষান্দল-হোগলপাতি সংযোগ খালের দুই গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্টটি মেরামতের অভাবে পরিণত হয়েছে মরনফাঁদে। বছরের পর বছর ভাঙ্গা কালভার্টটি পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করেও হয়নি একটি নতুন কালভার্ট। স্থানীয়দের দাবি নতুন কালভার্ট নির্মাণের।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হোগলপাতি ভাষান্দল সংযোগ খালের কালভার্টটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কালভার্ডের দু’পাড়ে মাটি না থাকায় খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। জোয়ার এলেই পানিতে ডুবে যায় কালভার্ট তখন গ্রামবাসীদের পার হতে হয় নৌকায়। ২ গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষের এখন ভোগান্তি চরমে।
এ ভাঙ্গা কালভার্ট পেরিয়ে জনসাধারণ যাতায়াত করছেন উপজেলা শহরসহ সীমান্তবর্তী বারইখালী ইউনিয়ন সহ প্রত্যন্ত গ্রামে। শত শত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় যেতে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শিশু শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ পথচারিরা এ কালভার্ট পার হতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। কালভার্টটির দুই প্রান্তে রয়েছে হোগলপাতি বালিকা বিদ্যালয়, হোগলপাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, , এইচ ভিএস হাজি নুরউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, আবুল হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, তিনটি মসজিদ, তেঁতুলবাড়িয়া বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন,আতাহার আলী, মনসুর আহমেদ, নাসির উদ্দিন, সরোয়ার হোসেন বলেন, ইউপি নির্বাচনে জনপ্রতিনিধির পরিবর্তন হলেও ভাঙ্গা কালভার্টের হয়না পরিবর্তন। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এরকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের।
শিশু শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার, চাঁদনী আক্তার, রুবেল শিকদার, বলেন ভাঙ্গা কালভার্ট পার হয়ে আমাদের স্কুলে আসতে খুবই কষ্ট হয়। জোয়ারের সময় নৌকায় পার হতে হয়। অনেক সময় মা-বাবারা এসে পার করিয়ে দেয়। আমাদের নতুন ব্রীজ কবে হবে ?
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, হোগলপাতি-ভাষান্দল সংযোগ খালের ওপর ভাঙ্গা কালভার্টের বিষয়ে ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভায় একাধিকবার তোলা হয়েছে। পরিষদ থেকে বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, হোগলপাতি সংযোগ খালের কালভার্টের বিষয়ে তিনি অবহিত রয়েছেন। দুটি ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী হওয়ায় সাময়িক এ সমস্যা হচ্ছে। পরিষদের বরাদ্দ থেকে কালভার্টর্টি পুনঃনির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, এডিপির বরাদ্দ থেকে কালভার্টটি পুনঃনির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিইডি দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের ভাঙ্গা কালভার্ট থেকে জনসাধারণ চলাচলে দুর্ভোগের কথা শুনেছেন। আপাতত বরাদ্দ না থাকায় চেয়ারম্যানকে পরিষদের বরাদ্দ থেকে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তীতে বরাদ্দ আসলে কালভার্টটি পুনঃনির্মাণ করা হবে।