মঙ্গলবার ● ২২ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঘোড়াঘাটে তেলবাহী লড়ীর ধাক্কা হেলপারের পা বিচ্ছিন্ন
ঘোড়াঘাটে তেলবাহী লড়ীর ধাক্কা হেলপারের পা বিচ্ছিন্ন
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাঁচামাল বোঝাই ট্রাকের পেছনে একটি তেলবাহী লড়ীর ধাক্কায় ওই লড়ীর হেলপারের ১টি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তেলবাহী ওই লড়ীর হেলপার ছোটন রায় (১৮) হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাতা গ্রামের বাসিন্দা।
গত রবিবার রাত ১০ টায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক উপজেলার টিএন্ডটি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিএন্ডটি বাসস্ট্যান্ডের একটু সামনে কাঁচামাল বোঝাই একটি ট্রাক রাস্তায় দাঁড় করিয়ে চাকা পরিবর্তন করছিল। অপরদিকে যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির তেলের ৮/৯টি লড়ী পার্বতীপুর উপজেলার তেলের ডিপোতে তেল দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে একই সাথে আসছিল। এমন সময় তেলবাহী একটি লড়ী ঘটনাস্থলের কাছে এসে হঠাৎ দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি দেখতে না পেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটির পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তেলবাহী লড়ীর সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং লড়ীর হেলপারের একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ নিরঞ্জন সরকার জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় লড়ীর হেলপারকে একটি পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। এ সময় অন্য সব তেলবাহী লড়ীর লোকজন এসে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতাল নিয়ে যায়।
ঘোড়াঘাটে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ
ঘোড়াঘাট :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে করতোয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৭২০ মিটার চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিয়াজ মোর্শেদ রঞ্জু জানান, পরিবেশ ও মাছের জীবন বৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় চাইনা দুয়ারী জাল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ জালে ছোট বড় থেকে শুরু করে যেকোনো জলজ প্রাণী একবার প্রবেশ করলে আর বের হতে পারেনা। এতে নদী-নালা খাল বিলে বসবাসরত মাছসহ সকল প্রকার জলজ প্রাণী বিলুপ্তির পথে। এজন্য উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ও অন্যান্য জেলেদের সতর্ক করে জনসচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়। যেন এধরণের জাল কেউ নদীতে না ফেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বলেন, উদ্ধার করা নিষিদ্ধ জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত করতোয়া নদী সহ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।