শনিবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে বাড়ি ফিরে প্রেমিকা জেসির আত্মহত্যা
রাউজানে বাড়ি ফিরে প্রেমিকা জেসির আত্মহত্যা
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানের নাদিয়া সুলতানা জেসির সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় পার্শ্ববতী উপজেলার সিফাত নামের এক যুবকের সঙ্গে। শুক্রবার সকালে প্রেমিক বোয়ালখালী উপজেলার ইমামনগরের মোহাম্মদ দিদারের পুত্র মোহাম্মদ সিফাত সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল রাউজানের নাদিয়া সুলতানা জেসি (১৫)। বিকালে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা জেসি ফাঁসীতে ঝুলে। জেসি রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম গ্রামের প্রবাসী আবু বক্করের কন্যা। সেই মোহরা এলকে ছিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে। রাত নয়টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর জন্য নিয়ে যায়। জানা যায়, মেয়ে জেসির আচরণ ও মোবাইল অতিরিক্ত আসক্তিতে বিরক্ত হয়ে তার মা তাকে বকাঝকা করে তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়েছিল। এতে রাগ ও ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তবে আত্মহননকারী স্কুল ছাত্রীর মা কামরুন নেছা বলেছেন, সিফাতের সাথে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন সকালে ঘর থেকে বের হয়ে যায় জেসি। তাকে ফোন করলে সিফাতের সাথে বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন মেয়ে জেসি। এই কথা শুনে জিসির মা ফোন করে তার মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে আসতে বলেছিলেন। জেসির জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেন তার মা কামরুন নেছা। পর মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় তিনি অভিমান করে বাপের বাড়িতে চলে যান। পরে তার মা জানতে পারেন বিকালে জেসিকে বাড়ির সামনে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে প্রেমিক সিফাত চলে যান। জেসির মার দাবি সন্ধ্যায় তিনি এসে ঘরের সামনের দরজা বন্ধ দেখে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন তার মেয়েকে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসীতে ঝুলতে। ঘটনা দেখে তিনি বিলাপ শুরু করলে প্রতিবেশিরা এসে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানালে চেয়ারম্যান বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানিয়েছে ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে হাজির হয় প্রেমিক সিফাত। তাকে এলাকার লোকজন আটক করে রাখেন। পরে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল ঘটনা স্বীকার করেন।
এবিষয়ে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মেয়েটির মা তার মোবাইল ফোন নিয়ে ফেলায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করি।