সোমবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » নলছিটিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ
নলছিটিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির নলছিটিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সৌদি ফেরত এক ব্যক্তির রেকর্ডিয় জমিতে জোর করে পাকা দালান নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশনার কাগজপত্র নলছিটি থানার ওসির কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরেও ওসি কোন ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল গ্রামের ভুক্তভোগী মজিবুর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পাশর্^বর্তী সরমহল গ্রামের ফখরুল ফরাজী ওরফে সোনা মিয়া ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সাথে তাঁদের জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। প্রতিপক্ষরা গত ১১ মে তাঁর জমিতে জোর করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের ঘোষণা দেন। এ ঘটনায় তিনি ঝালকাঠির সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাশাপাশি মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার আদেশ দেওয়া হয়। প্রতিপক্ষ ফখরুল ফরাজী আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন করেন। হাইকোর্ট ২১ আগস্ট পরবর্তী ছয় মাসের জন্য জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। নির্দেশনার কাগজপত্র নিয়ে নলছিটি থানার ওসি মুহাম্মদ আতাউর রহমানের কাছে গেলে তিনি থানা থেকে মজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে মরিয়ম বেগমকে বের করে দেন। ওসি ফখরুল ফরাজীর পক্ষ নিয়ে বলেন জমিতে স্থিতিবস্থা থাকলেও নির্মাণ কাজ করতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেন। এর পর থেকেই ওই জমিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পাকা দালান নির্মাণ করে যাচ্ছেন প্রতিপক্ষরা। এ অবস্থায় মজিবর রহমান অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাঁর জামিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ফখরুল ফরাজী বলেন, আমাদের নিজেদের জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিপক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। নলছিটি থানার ওসি মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধীয় জমিতে নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এরপরও কাজ চালিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্তরা আদালতে যাবে। আদালত যে আদেশ দেবে আমরা তা পালন করা যাবে।