শুক্রবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহের এমপি’র বিদ্রোহী প্রীতিতে ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা
ঝিনাইদহের এমপি’র বিদ্রোহী প্রীতিতে ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে টানলেন,ফুলের মালা পরলেন ও তাদের মিষ্টি মুখ করালেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি নবী নেওয়াজ৷ ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ অন্যদিকে বিদ্রোহী জয়ী প্রার্থীদের ক্যাডার সমর্থকেরা দলীয় প্রার্থীদের সর্মথকদের উপর হামলা ও চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে৷ নৌকার সমর্থকেরা এখন কি করবেন ভেবে পারছেন না৷ বিষয়টি দলীয় হওয়ার কারনে প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারছে না৷ ঘটনাটি ভুক্তভোগী কর্মীরা দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন৷
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে মহেশপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন৷ অভিযোগ উঠে দলীয় এমপি ও উপজেলা আ’লীগের মদদের কারনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সামাল দিতে পারেনি জেলা নেতৃবৃন্দ৷ ফলে ২টি ইউনিয়নে জামায়াত(স্বতন্ত্র) ও ৩টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছে৷ বাকিগুলোতে বিদ্রোহীদের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্মূখীন হতে হয় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের৷ এরই মধ্যে মহেশপুরের ১নং এসবিকে ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদকে পরাজিত করা হয়েছে৷ তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফান হাসান চৌধুরী নুথানকে নির্বাচন শেষে ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি নবী নেওয়াজ তার বাসভবনে ডেকে মিষ্টি মুখ ও ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন৷ একই কায়দায় বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেককে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে নেন এমপি নবী নেওয়াজ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, যেখানে দলের বিদ্রোহীদের কোন রকম ছাড় দেওয়া হবে না৷ সেখানে এমপি নবী নেওয়াজ দলীয় সিন্ধান্ত অমান্য করে এরকম ঘটনা ঘটানোর ফলে মহেশপুর আওয়ামী লীগের তৃনমুল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ এ ব্যাপারে এমপি নবী নেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কেউ যদি আমার কাছে আসে তাকে তো ফেলে দিতে পারি না৷ তারা তো আমার দলীয় কর্মী ছিল৷ তাই তাদের প্রশ্রয় তো আমি দিতেই পারি৷ এখানে তো দোষের কিছু দেখছি না৷