শুক্রবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে নিখোঁজের দেড় মাস পর সন্তানসহ গৃহবধূ উদ্ধার
বিশ্বনাথে নিখোঁজের দেড় মাস পর সন্তানসহ গৃহবধূ উদ্ধার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজের প্রায় দেড় মাস পর সন্তানসহ গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ রুপা বেগম (২৪) বিশ্বনাথ উপজেলার চকরামপ্রসাদ গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন বাবুলের স্ত্রী৷ এবং উদ্ধারকৃত তাদের সন্তানের নাম সাজিদ হোসেন (৪)৷ ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে ফদিরপুর জেলার রাজবাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে তাদেরকে হাজির করা হলে গৃহবধূ রুপা স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন৷ আদালত গৃহবধূ রপা বেগমকে তার নিজ জিম্মায় ও সন্তান সাজ্জাদ হোসেনকে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেন৷
জানা গেছে, গত প্রায় ছয় বছর পূর্বে রুপা বেগমের সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেন সাজ্জাদ হোসেন বাবুল৷ বিয়ের পর তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে৷ বর্তমানে ওই ছেলের বয়স ৪ বছর৷ গত ২১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় সাজ্জাদ হোসেন বাবুল স্থানীয় রামপাশা বাজারে চলে যান৷ এসময় ঘরে থাকা তার মা আফিয়া খাতুন মাগরিবের নামাজে ছিলেন৷ এসুযোগে গৃহবধু ও তার সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান৷ এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সন্তানসহ গৃহবধু নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগে থানায় প্রথমে জিডি করা হয়৷ এরপর গত ২৬মার্চ গৃহবধুর স্বামী সাজ্জাজ হোসেন বাবুল বাদি হয়ে ৬ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন৷ মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশ বিশ্বনাথ উপজেলার চকরামপ্রসাদ গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২১) ও মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার পুদিনাপুর গ্রামের মৃত এলাইছ মিয়ার ছেলে শিমুল মিয়া (২৮) কে গ্রফতার করে৷ গ্রেফতারের পর তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন৷
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, মোবাইল ফোনের কল লিস্টের মাধ্যমে পুলিশ নিখোঁজ গৃহবধূ রুপা বেগম ও তার সন্তানের অবস্থান জানতে পারেন৷ এরপর বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ি এলাকাথেকে তাদেরকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়৷ তিনি জানান, গৃহবধূ রুপা বেগম তার স্বামীর বাড়ির পাশ্বের্র বাড়ির হালিমা বেগমের ভগ্নিপতি গ্রেফতারকৃত শিমুল মিয়া৷ সেই সুবাদে হালিমার মাধ্যমে শিমুলের দোকানের কর্মচারী শাহিনের সঙ্গে পরিচয় হয় রুপা বেগমের৷ আর রুপা বেগম তার স্বামী, শ্বশুর শাশুড়ির ওপর অভিমান করে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর এলাকায় শাহিনের কাছে ৷ সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ সদর থানার বগাদিয়া এলাকায় এরপর তিনি ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ি এলাকায় তার এক বোনের বাড়িতে অবস্থান করেন৷