শনিবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ঢাকা » অধিকার এর আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের দণ্ডাদেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্বেগ
অধিকার এর আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের দণ্ডাদেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্বেগ
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দীন এলানের কারাদন্ডের রায়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন তাদের সাজা ও কারাদণ্ডাদেশে রাষ্ট্রীয় রোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই রায়ে এটা আরও একবার প্রমান হল যে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কত সোচনীয়! অধিকার এর মত শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থার দুই প্রধান ব্যক্তিকে যদি সরকারের কথিত ভুল তথ্যের জন্য এক দশক ধরে হয়রানিমূলক মামলায় ধারাবাহিক নির্যাতন - নিপীড়নের শিকার হতে হয় এবং সর্বশেষে আদালতের রায়ে দুই বছরের দন্ডাদেশ আর জরিমানা গুণতে হয় তা যে মানবাধিকারের চরম লংঘন তা অত্যন্ত স্পষ্ট। এই রায়ে যে বিরুদ্ধ মত ও স্বাধীন তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে তাও পরিস্কার।
তিনি উল্লেখ করেন, গুম - খুন- বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসসহ গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের তথ্য প্রকাশ করে জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় বহুবছর ধরে অধিকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে। মানবাধিকারের পক্ষে তাদের তৎপরতা মানুষের ভরসারও যায়গা হয়ে উঠেছে।তাদের নিবেদিতপ্রাণ তৎপরতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেই প্রশংসিত হয়েছে। তাদেরকে সহায়তার পরিবর্তে সরকার তাদের তহবিল বন্ধ করে দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, বিতর্কিত আইসিটি আইনের আওতায় দায়ের করা হয়রানিমূলক এই মামলা বহু আগেই তার ‘মেরিট’ হারিয়েছে। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে সর্বশেষ সাইবার নিরাপত্তা আইন পাশের পর এসব মামলা বাতিল হবার কথা।অথচ সরকার বাতিল হওয়া আইনের মামলাগুলোকেও স্বাধীন মতপ্রকাশ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আসছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থাকে তাদের অনুগত করে করে ফেলেছে ; বিরোধী মত ও বিরোধী দল দমনে তারা বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করছে।এই পরিস্থিতি দেশে আইনের শাসনকে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।
তিনি অনতিবিলম্বে অধিকার এর আদিলুর রহমান খান ও নাসিত উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
একইসাথে তিনি নিবর্তনমূলক সকল কালাকানুন বাতিল করারও আহবান জানান।