শুক্রবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে অস্ত্রধারী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ,ইউএনও,সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না (ভিডিওসহ)
রাঙামাটিতে অস্ত্রধারী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ,ইউএনও,সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না (ভিডিওসহ)
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৮ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩০মিঃ) রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার ভাইবোন ছড়া এলাকার বাঙ্গালী অধিবাসীরা স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সংস্কারপন্থী) এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে পার্বত্য বাঙ্গালী গণমঞ্চ (পিবিজিএম) নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ৷
৭ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন শেষে তারা স্মারকলিপি জমা দেন ৷
স্মারকলিপিতে ৬ দফা দাবীর কথা উল্লেখ রয়েছে ৷
১. পাহাড়ী বাঙ্গালী কবুলয়তভুক্ত জায়গা বুঝিয়ে দিতে হবে ৷
২. পাহাড়ের ভিতরে কোন পাহাড়ী কর্তৃক আলাদা বাজার হবে না৷ কারণ ঐ বাজারে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা নিজেদের কালেক্টর দিয়ে এক কালীন চাঁদা আদায় করে ৷
৩. যে সব পাহাড়ী বাঙ্গালী জেলে এবং নৌকার মালিক রয়েছে তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার চাঁদা আদায় করতে পারবে না ৷
৪. যে সব পাহাড়ী সন্ত্রাসী শান্তি চুক্তির নামে মিথ্যা প্রচারণা করে পাহাড়ী বাঙ্গালীর উপর নির্যাতন ও জায়গা জমি দখল করে, তাদের অস্ত্র জমা দিতে হবে ৷ না হলে পার্বত্য বাঙ্গালী গণমঞ্চ (পিবিজিএম) মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ভিডিপি’র সদস্যদেরকে সরকারী অস্ত্র বরাদ্ধ দিতে হবে ৷
৫. ৭ নং ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের ১ ও ২ নং কাট্টলী মৌজায় ২টি আর্মি ক্যাম্প দিতে হবে, আর না হয় এখান থেকে পাহাড়ি সন্ত্রাসী নিমূল করা সম্ভব নয়৷
৬. যারা অতি সল্প বেতনে ভিডিপি’তে চাকুরী করছে তাদের সে বেতনে পরিবার চলে না, তাদের বেতন বৃদ্ধি করা জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷
স্মারকলিপি জমা দিতে আসা নেতৃবৃন্দ দাবি করেন চাঁদাবাজদের কাছে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রীয় অস্ত্র রয়েছে এবং তারা স্থানীয় পাহাড়ী আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও চাঁদা কালেক্টর ৷
এদের বিরুদ্ধে এর আগে লংগদু থানায় পুলিশের কাছে, এছাড়া লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এমনকি স্থানীয় ২ইবি লংগদু সেনাবাহিনীর জোন কমান্ডারের কাছে ও অভিযোগ করেছেন বলে জানান মোঃ শওকত আকবর রানা ৷
রাঙামাটি জেলার স্থানীয় প্রশাসন সব জানে কিন্তু চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন না করায় প্রতিদিন রাঙামাটিতে অস্ত্রধারী চাঁদাবাজদের দৌড়াত্য বেড়েই চলেছে, নেই কোন আইনী পদক্ষেপ এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগিরা৷
এব্যাপারে ডাইরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান বিষয়টি ভুমি সংক্রান্ত,স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপাতত পাহাড়ি বাঙ্গালী উভয়কে বিরোধপূর্ণ ভুমিতে সকল ধরনের চাষাবাদ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ৷
এব্যাপারে লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ২ইবি সেনাবাহিনীর উপ অধিনায়ক লংগদু পাহাড়ি বাঙ্গালী উভয়কে নিয়ে মিমাংসার জন্য বসার কথা রয়েছে৷
বিষয়টি নিয়ে আগামী কাল ৯ এপ্রিল স্থানীয় লংগদু উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকের কোন আমন্ত্রণ পেয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে মোঃ শওকত আকবর রানা বলেন তাদেকে বৈঠকের ব্যাপারে কেউ এখনো কিছুই জানায়নি।
(ভিডিও দেখুন)