বুধবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে আরও ২ টি মামলা : মামলার সংখ্যা - ০৮
চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে আরও ২ টি মামলা : মামলার সংখ্যা - ০৮
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা এসএম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবিরের বিরুদ্ধে আর দুইটি মামলা করেছেন ভূক্তভোগিরা। এনিয়ে টাকা আত্মসাতের ৭টি ও সাইবার ট্রাইব্যুনালের একটিসহ মোট ০৮টি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন উপজেলার গোবিন্দ গঞ্জের খোজারপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র দিলোয়ার হোসেন, (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৩৫৬/২৩)। একই আদালতে পৃথক মামলাটি দায়ের করেন গোবিন্দগঞ্জের সাহেবনগর খোজারখলা গ্রামের আব্দুল মুকিতের ছেলে সামছুল হক, (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৩৫৭/২৩)।
দুই মামলাই এসএম নুনু মিয়ার পিএস দবির মিয়াকে ১নং আসামী ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়াকে ২নং আসামী করা হয়েছে। অভিযুক্ত দবির পৌরসভার মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার ছেলে। আর একটি মামলায় ৩নং আসামী করা হয়েছে আমতৈল গ্রামের মুসা মিয়া নামের এক ব্যাক্তিকে।
দুটি মামলায় গভীর নলকূপ ও ওয়াসব্লক দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুটি মামলার সত্যতা জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল আহমদ বলেন, মামলা দুটি তদন্তের জন্য বিশ্বনাথ ওসি তদন্তকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
এদিকে, গত ১০ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে পৃথক আরও তিনটি মামলা দায়ের করেন উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের তিন ভূক্তভোগী। মামলা তিনটিরই শুনানি শেষে আদালতের বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে সিলেটের গোয়েন্দা (সিআইডি) পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
একই সঙ্গে আগামি ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। মামলাগুলো যথাক্রমে বিশ্বনাথ সিআর ৩৪৬/২০২৩, বিশ্বনাথ সিআর ৩৪৫/২০২৩ ও ‘বিশ্বনাথ সিআর ৩৪৪/২০২৩)। মামলার বাদী তিনজন হলেন, দিঘলী (দত্তপুর) গ্রামের রইছ উদ্দিন (৫৫), উপজেলার বশিরপুর (উত্তর সিরাজপুর) গ্রামের জমির আলী (৪০) এবং একানিধা গ্রামের মোতাওয়াল্লী মো. আব্দুল্লাহ (৫০)।
এরআগে গত ২২ আগস্ট সরকারি বরাদ্দের নামে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে নুনু মিয়া ও তার পিএস দবিরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন খাজাঞ্চী ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি জামাল আহমদ। মামলার শুনানি শেষে আদালতের বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামানকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
অপরদিকে, গত ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য শ্রমিকনেতা মো. ময়না মিয়া সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন। মামলায় নুনু মিয়াকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
একইদিন সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে পৌর শহরের মুফতিরগাঁও গ্রামের মৃত তজম্মুল আলীর ছেলে ও উপজেলা যুবলীগ নেতা রাজন আহমদ অপু বাদী হয়ে নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন, (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৩৩৮/২৩)।
তবে, এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। তিনি বলেন, সুবিধা না পেয়ে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করাচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিশ্বনাথের কিশোর আল-আমিনের মৃত্যু
বিশ্বনাথ :: ৩ মাস ১০ দিন পূর্বে দক্ষিণ সাউথ আফ্রিকা গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথের আল-আমিন (১৭) নামের এক কিশোর। সে পৌর শহরের দক্ষিণ মিরেরচর গ্রামের মোবারক আলীর পুত্র।
নিহত আল-আমিনের আত্মীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার কিস্টিয়ানা শহরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আল-আমিনকে প্রচুর মারধর করার এক পর্যায়ে গুলি করে সন্ত্রাসীরা।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে লড়তে অবশেষে আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সদ্য যৌবনে পদার্পন করা নিষ্পাপ কিশোর আল-আমিন।
এদিকে, অতি আদরের ভাগ্নাকে হারানোর সংবাদ পেয়ে যেনো কোন ভাবেই মেনে নিতে পারবেন না সাংবাদিক কামাল মুন্না। ২ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে বাবা-মায়ের ৬ষ্ঠ সন্তান ছিলেন আল-আমিন।
আদরের সন্তানকে হারিয়ে তারাও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও আল-আমিনের মৃত্যুর সংবাদ তার পরিচিত সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে।