শনিবার ● ৯ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজনকে কুপিয়ে হত্যা আহত ২০
ঝিনাইদহে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজনকে কুপিয়ে হত্যা আহত ২০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৯ এপ্রিল ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ১২.২৫মিঃ) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছয়াইল গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আকামীর হোসেন (৫৮) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন৷ নিহত আকামীর ছয়াইল গ্রামের বেলায়েত হোসেন মীরের ছেলে৷ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ এদের মধ্যে আমজাদ মীর, ইয়াকুব হোসেন মীর, জিয়ারুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলামের পরিচয় পাওয়া গেছে৷ তারা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন৷ বাকীদেরকেও ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছেন৷ ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের ছয়াইল গ্রামে সকাল পোনে ৭টার দিকে আওয়ামী লীগের শাহাবুদ্দীন ও ইমাজউদ্দীন গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ সামাজিক ভাবে শাহাবুদ্দীন হচ্ছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বিকাশ গ্রুপ ও ইমাজউদ্দীন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিজামুল গনি লিটুর সমর্থক৷ ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, আসন্ন ইউপি পরিষদ নির্বোচনে দলীয় প্রতিক নৌকা পায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজামুল গনি লিটু৷ এ নিয়ে পদ্মাকর ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী লিটু ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিকাশ সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ তিনি আরো জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের রেশ ধরে শুক্রবার সকালে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্মথকদের এ সংঘর্ষ শুরু হয়৷ খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩ রাউন্ড সটগানে গুলি চালায় বলে ওসি জানান৷ তিনি দাবী করেন সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫/৬ জন আহত হয়েছেন৷ এদিকে গ্রাম্য মেম্বর তোরাপ আলী জানিয়েছেন সকালে ছয়াইল গ্রামের তোতা গ্রুপের রেজাউল ইসলামকে মারধর করে প্রতিপক্ষ সাহাবুদ্দিন গ্রুপের লোকজন৷ এরপর গ্রামের পুর্বপাড়ায় সংর্ঘষ ছড়িয়ে পড়ে৷ এসময় সাহাবুদ্দিন গ্রুপের সমর্থক আকামীর (৫৮) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন৷ তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷ সংঘর্ষে আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন৷ এদের মধ্যে জিয়ারুল ইসলামে নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিত্সক ডাঃ শাহনেওয়াজ কাসেম জানিয়েছেন৷ এদিকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিকাশ কুমার দাবী করেছেন নির্বাচন নয়, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে৷ ইউপি নির্বাচনের সাথে এর কোন সম্পক নেই ৷