রবিবার ● ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » অপহরণের ২২ ঘন্টা পর হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৩ জনকে মুক্তি
অপহরণের ২২ ঘন্টা পর হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৩ জনকে মুক্তি
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রাঙামাটির সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরার পথে গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার সময় দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী বাজার এলাকা থেকে সেনা মদদপুষ্ট নব্যমুখোশ সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণের শিকার হন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগাড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা এবং দুই কলেজ শিক্ষার্থী কর্নিয়া চাকমা ও নিশা চাকমা। অপহরণের ২২ ঘন্টা পর আজ রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দুপুর দেড়টার সময় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে দীঘিনালার বনবিহার এলাকা থেকে মুক্তি দেয়। মুক্তির পর তারা খাগড়াছড়িতে পৌঁছেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা।
এন্টি চাকমাসহ তিন জনের মুক্তির পর সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা বলেন, গতকাল বিকাল ৩টার সময় রাঙামাটির সাজেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা প্রীতিলতার ৯১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভা শেষে এন্টি চাকমা ও তার সাথে যাওয়া দুই কলেজ শিক্ষার্থী একটি মাহেন্দ্র গাড়িযোগে খাগড়াছড়ি ফিরছিলেন। বিকাল সাড়ে ৩টার সময় তারা দীঘিনালার কবাখালী বাজার এলাকায় পৌঁছলে একটি বিশেষ মহলের মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনীর ৬ জন সদস্য তাদেরকে অপহরণ করে দীঘিনালা বনবিহার এলাকায় নিয়ে আটকে রাখে।
এ অপহরণ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সন্ত্রাসীরা চাপের মুখে পড়ে। ফলে তারা আজ দুপুর দেড়টার দিকে অপহৃতদের অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে এন্টি চাকমাসহ তিন জনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
নীতি চাকমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গতকাল বিকালে দীঘিনালা ক্যান্টনমেন্ট ও পুলিশী থানার কাছাকাছি এলাকায় এই অপহরণ ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন অপহৃতদের উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এ থেকেই বুঝা যায় এই অপহরণ ঘটনায় রাষ্ট্রের একটি বিশেষ মহলের মদদ থাকতে পারে। মূলত কাপ্তাইয়ে সংঘটিত স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে নব্যমুখোশ দুর্বৃত্তদের লেলিয়ে দিয়ে এ অপহরণ ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে অপহরণকারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনী ভেঙ্গে দেয়া ও সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয় মদদদান বন্ধ করার দাবি জানান।