শুক্রবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ছাত্রীর বাড়িতে প্রশ্ন পাঠিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ
ছাত্রীর বাড়িতে প্রশ্ন পাঠিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের জেবুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়র দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরিক্ষায় এক ছাত্রীর বাড়িতে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে পরীক্ষা নেওয়া অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাড়ি থেকে পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। এসময় সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো.সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর থেকে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরিক্ষা শুরু হয়। ২ টা পরীক্ষা দেওয়ার পরে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে গেলে তার মা এসে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের কাছে জানান। পরে তিনি কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ওই ছাত্রীর বাড়িতে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে পরীক্ষা নেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন ,প্রশ্নপত্র বাড়িতে পাঠানোর অধিকার আমার নাই। কতৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার উচিত ছিলো। আমি কারো অনুমতি নেইনি আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি মানবিকের কারণে এটা করেছিলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুজা মন্ডল বলেন, আমাকে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। খাতা, প্রশ্নপত্র ও স্বীকারোক্তি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২য় দিনের মতো চলছে ঝালকাঠিতে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি
ঝালকাঠি :: ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদ তৈরি স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে ঝালকাঠিতে ২য় দিনের মতো কর্মবিরতি করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা।
বুধবার(১১ অক্টোবর) দিনভর ঝালকাঠি সরকারি কলেজ এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
কর্মবিরতিতে বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ইউনিটির সভাপতি অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ইউনুস আলী সিদ্দিকী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শুকদেব বাড়ৈ, ঝালকাঠি জেলা কমিটির সভাপতি প্রফেসর মোঃ ইলিয়াস বেপারী প্রমুখ।
এসময় তারা বলেন, বঞ্চনা আর বৈষম্যের মাধ্যমে এই পেশার কার্যক্রমকে সংকুচিত করা হয়েছে। অপেশাদাররা এই পেশাকে গ্রাস করছে। শিক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ৪র্থ গ্রেডের ওপর কোনো পদ নেই। শিক্ষা ক্যাডারে সর্বোচ্চ পদ অধ্যাপক পদটি চতুর্থ গ্রেড হওয়ায় পঞ্চম গ্রেড হতে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ নেই। তাই অধ্যাপকটি তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডের পদ তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
২০১৫ সালে নতুন পে-স্কেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা। আমাদের পূর্ণ গড় বেতনে অর্জিত ছুটির বিষয়ে ২০০৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি প্রদান করলেও প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাবে এটি আলোর মুখ দেখেনি। তাই সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারদের দাবি আদায়ে জরুরিভাবে একটি দক্ষ, যুগোপযোগী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা সময়ের দাবি।
পরীক্ষা হলে নকলের সুযোগের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকের টাকা দাবি
ঝালকাঠি :: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণির ভোকেশনাল পরীক্ষায় নকলের সুযোগ করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে ১ হাজার ৯০০ টাকা করে দাবি করার অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আইসিটি শিক্ষক মো. মুসা হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মাদরাসার অধ্যক্ষকে এ নির্দেশ দেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম।
হাফিজুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী জানান , আগামী ১ সেপ্টেম্বর আমাদের পরীক্ষা শুরু হবে। আর এই পরীক্ষায় নকল করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবস্থা করতে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১ হাজার ৯০০ টাকা করে তার কাছে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একদিন যেতে না যেতেই আমাদের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন ওই শিক্ষক। টাকা না নিয়ে গেলে আমাদেরকে বেত দিয়ে মারধর করেন। পরে সেটি আমরা গোপনে মোবাইলে ধারণ করে রাখি।
অভিযুক্ত আইসিটি শিক্ষক মো. মুসা হাওলাদারের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বাহাউদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা দাবির অভিযোগ ওঠায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মাদরাসা অধ্যক্ষকে তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস দিতে নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’