মঙ্গলবার ● ৩১ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » ঢাকা » নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য ডেকেছে ইসি
নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য ডেকেছে ইসি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইসি কার্যালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৪ নভেম্বর ৪৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশন বসবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানাতে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, সংলাপের জন্য দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা তাদের নির্ধারণ করা দুই প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত সবগুলো দলকে দুই ভাগে সংলাপের জন্য ডাকা হবে।
এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজনৈতিক দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
এর পরেই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসার উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
চলতি বছরের মার্চে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে আধা সরকারি চিঠি দিয়েছিলেন। তবে বিএনপি ওই আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।
এদিকে আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের উপলক্ষে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে কি না এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, খুনিদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।
আগামী নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কি না সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে, এটা মাথায় রাখতে হবে। কে কি চাপ দিলো, না দিলো এটাতে কিছু আসে যায় না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছিলেন আমাদের সরকার তাদের কোনো বাধা দেয়নি। তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখে বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটালো, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপালো, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটালো, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছুই জুটবে না।
শুধু তাই না, হাসপাতালে ঢুকেও তারা হামলা করেছে। সেখানেও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনে হাসপাতালে হামলা করছে, নারী-শিশুদের হত্যা করছে, এর সঙ্গে তো বিএনপির হামলার কোনো তফাত দেখি না।
এর আগে, গত ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে’ যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী। ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী গত ২৪ অক্টোবর ব্রাসেলসে যান। ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।