সোমবার ● ৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে রাস্তা বন্ধ
মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে রাস্তা বন্ধ
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইউনুছ খাদিজিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তার অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা আর অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে মাদ্রাসায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেয় জমির মালিক। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী।
জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের গোল্লা জয়পুর এলাকার ইউনুছ খাদিজিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপারইনটেনডেন্ট রেজাউল করিম নিয়োগের পর থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, পরীক্ষার ফি, মাদরাসার টিউশন ফি, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ, সাধারণ তহবিলের টাকা আদান প্রদানে কোন প্রকার রশিদ ভাউচার ব্যবহার না করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়াও মাদ্রাসার বই বিক্রি ও টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে মাদরাসার সার্বিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলেন তিনি। এ নিয়ে ২০২০ সালে করুণাকালীন সময়ে মাদরাসা বন্ধ থাকায় জমির মালিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে বিভিন্ন মানুষের বাড়ী ও জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এমনকি একারনে সরকারি ফ্যাসেলিটিস চারতলা বিল্ডিং এর কাজ দীর্ঘ সারে চার বছর যাবৎ আটকে আছে।
এবিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকমন্ডলীরা জানান, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দফায় দফায় অভিযোগ দিয়ে কোন এক অজানা কারণে প্রতিকার পাচ্ছেন না।
অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করে মাদ্রাসা সুপার মোঃ রেজাউল করিম জানান, অফিস সহকারী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী এই দুটি নিয়োগকে কেন্দ্র করেই জমির মালিক রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।
এবিষয়ে জমির মালিক আবু তাহের জানান, আমি আমার জায়গায় ফিসারী দিয়েছি। আর এই জায়গা দিয়ে কোন রাস্তা ছিলনা। তবে কিছুদিন শিক্ষার্থীরা একটি পুকুরপাড় চলাচল করত। এখন আমার ২টি পুকুরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা দেয়া সম্ভবনা। মাদ্রাসা কতৃপক্ষ দিয়ে তাঁদের জায়গা দিয়ে রাস্তা করে আর একটু জায়গা দিতে হয় তাহলে আমি পুকুরের সাইট দিয়ে রাস্তার জায়গা দিতে রাজি আছি। তবে শুধু আমার জায়গা দিয়ে পুকুরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা দেয়া সম্ভবনা।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে নিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া হয়েছে। পরে সকলের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিছুদিন পর শুকনা সিজনে চেয়ারম্যান সাহেব শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের স্বার্থে একটি রাস্তা করে দিবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসেছি। কিছুদিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।