রবিবার ● ১০ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বৈসাবিতে পাহাড়ে জমে উঠেছে ক্রয়বিক্রয়
বৈসাবিতে পাহাড়ে জমে উঠেছে ক্রয়বিক্রয়
ষ্টাফ রিপোর্টার :: পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালী সম্প্রদায়ে বৃহত্তম এই সামাজিক আয়োজনে ব্যস্ত এখন রাঙামাটি শহর, নগর আর পাহাড়ি পল্লীগুলো৷ চারিদিকে আনন্দের সুর লহরী আর বৈসাবি আয়োজন৷ বাঙালীর নববর্ষ, চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই, তঞ্চঙ্গরা বিষু, অহমিয়ারা বিহু এভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে একই সময়ে পালন করে এই উত্সব৷ উত্সব ঘিরে যেমন পোশাকের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, তেমনি অতিথিদের অ্যাপায়নের জন্যও মুদির দোকানেও ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ রাঙামাটির বাজার এখন বৈসাবি ও নববর্ষের জ্বরে আক্রান্ত ৷এরই ধারবাহিকতায় পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈসাবি ও বাঙালীর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাঙামাটির প্রত্যেক বাজারে পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে৷ শহরের বনরূপার বিভিন্ন শপিং মলে ও কাঁচাবাজারে ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে৷ তবে অন্যান্যদের চেয়ে পাহাড়ি তরুণ-তরুণীর সংখ্যায় বেশি৷ উত্সব প্রিয় পাহাড়িরা সারা বছর মেতে থাকেন নানান অনুষ্ঠানে৷ তবে তার সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় বর্ষবিদায়ের এই উত্সব৷ বনরূপা বিএম শপিং কমপেস্নক্সে একব্যবসায়ি জানান, বৈসাবি উপলক্ষে রাঙামাটির বাজারগুলো এখন ক্রেতায় ভরপুর৷ পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা দোকানে ভিড় করছে বেশি৷ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকও ক্রয় করছে তারা৷ শুধু কাপড় কেনা নয়, মানুষ কাঁচা বাজারও করে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তরকারি ব্যবসায়ীরা৷ বিভিন্ন শো-রুমগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, বৈসাবি ও বৈশাখের আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে বিপণি বিতানগুলো নতুন নতুন পোশাকে সাজানো হয়েছে৷ শহরের নিউ মার্কেট, বিএম কমপ্লেক্স, আলিফ মার্কেট,কলেজ গেইট গাউছিয়া মার্কেট,রিজার্ভ মসজিদ মার্কেট ও তবলছড়ির বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে থরে থরে এখন বৈসাবি ও বৈশাখী পোশাক সাজানো হয়েছে৷ দোকানগুলোতে বাঙালির বিভিন্ন ঐতিহ্যের আঁকা ফতুয়া, পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রিপিছ ও গেঞ্জিসেট সবার নজর কাড়ছে৷ ফুটপাতের দোকানগুলোতেও বৈশাখী হাওয়া লেগেছে৷ সেখানেও নতুন নতুন পোশাক উঠেছে৷ বিভিন্ন শোরুমগুলোতে চলছে বৈসাবি অফার৷ এককথায় সব জায়গায় বৈসাবির উন্মাদনা৷ ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় শুরু হচ্ছে বৈসাবি’র মূল আনুষ্ঠানিকতা৷ ২৯ চৈত্র মঙ্গলবার চাকমা জনগোষ্ঠীর ‘ফুল বিজু’, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ‘হাঁড়িবসু’ আর মারমা সম্প্রদায়ে সূচিকাজ ৷ ঠিক ফুলবিজু নামে অভিহিত এইদিন প্রায় সকল পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী পানিতে ফুল ভাসিয়ে দেয়৷
অন্যদিকে বাঙালি জনগোষ্ঠী পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ পালন করে৷ দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়৷ ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উত্সবে অংশ নেয়৷ বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল এই উত্সব পালিত হয়৷ যেকোনো বাধা বিপত্তি পেরিয়ে, সহস্র প্রতিকূলতা ছাড়িয়েও আনন্দে উত্সবে পালিত হচ্ছে বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষ৷