মঙ্গলবার ● ২১ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ঢাকা » রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের
রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশে হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মত অসংক্রামক রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী এসব অসংক্রামক রোগ। হেলথ প্রমোশন কার্যক্রমের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা এবং চিকিৎসা নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে চিকিৎসায় সরকার ও ব্যক্তির ব্যয় কমে আসবে। হেলথ প্রমোশন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে আজ ২১ নভেম্বর প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব হেলথ সায়েন্স, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টসহ সতেরটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে ‘হেলথ প্রমোশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কনফারেন্সের আয়োজন করে। কনফারেন্সে নীতিনির্ধারক, জনস্বাস্থ্যবিদ, ডাক্তার, আইনজীবি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সে আলোচকবৃন্দ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে জানান, হেলথ প্রমোশন বা স্বাস্থ্য উন্নয়ন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয় যার দ্বারা মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের নির্ধারকসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং নিজ স্বাস্থ্যের উন্নতি লাভের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। সাধারণভাবে, তামাকপণ্যের ব্যবহার, কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব, অ্যালকোহল গ্রহণ, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের অভাব এবং বায়ু দূষণ প্রভৃতিকে অসংক্রামক রোগের মূল ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে এসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রায় সম্পূর্ণভাবে এড়ানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেই অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুকে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন। ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশ হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তবে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন’ এবং ‘রোগ প্রতিরোধ’ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কোন সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশে এখনও শুরু হয়নি। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হেলথ প্রমোশন বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এসডিজিসহ সরকারের অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করবে।
কনফারেন্সে হেলথ প্রমোশন সহ দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে পাঁচ দফার একটি সম্মিলিত ঘোষণা প্রদান করা হয়।