মঙ্গলবার ● ২১ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত কলেজ ছাত্র : গ্রেফতার-১
কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত কলেজ ছাত্র : গ্রেফতার-১
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় মো. মাজহারুল ইসলাম (১৯) নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার প্রধান আসামি কিশোর জিলানিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার কোর্টে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের কলিম উদ্দিন সরকারের ছেলে মাজহারুল ইসলাম উচাখিলা আলীনগর কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। মাজহার গত শনিবার সন্ধ্যায় পিতার কাছ থেকে দলিল রেজিষ্ট্রেশন গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উচাখিলা বাজার থেকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেলে করে রওনা হয়। পথিমধ্যে উচাখিলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন আসা মাত্রই মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাজহারের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এঘটনায় মাজহার এর চাচা কাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মোহাম্মদ জিলানীকে (২০) প্রধান আসামি এবং কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জিয়ারুলসহ ৫ জন নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাতনাম আরো ১২ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি কিশোর জিলানীকে গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় উচাখিলা বাজারের উত্তর পার্শ্বে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ওই কলেজ ছাত্রের উপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জিলানীর নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও জিলানীর এসব অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে টিসিও দিয়েছিলেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মামলার বাদী কাজিম উদ্দিন বলেন, উচাখিলা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেনের হুকুমে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য একাধিক মামলার আসামি জিলানীর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন কিশোর আমার ভাতিজার উপর হামলা চালায়। ঘটনার পর পরই আমার ভাতিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করি।
এবিষয়ে উচাখিলা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মামলার আসামি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার উপর আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মূলত বিএনপির কিছু লোকজনের ইন্ধনে আমাকে বেকায়দায় ফেলতে মামলায় আমাকে জড়িয়ে আমার মান সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি এই ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানিনা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।