মঙ্গলবার ● ২১ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
ঝালকাঠিতে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
গাজী গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে সরকারি হরচন্দ্র বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অপর্না দাসের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণী রোল ০২ প্রভাতী শাখার নিয়মিত শিক্ষার্থীর সাথে স্বেচ্ছাচারিতা, চড়থাপ্পড় ও মানসিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে । অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী বুশরা মেহেজাবিন ৮ম শ্রেনীর বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে গত ১৯/১১/২৩ তারিখ রবিবার সাধারন গনিত পরিক্ষার সময় শেষ হওয়ার আগে পরিক্ষকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা অর্পনা দাস শিক্ষার্থীর লেখা মূল উত্তরপত্রের সাথে থাকা অতিরিক্ত উত্তর পত্র( লুজ পেপার) বাদ দিয়ে মূল খাতা টেনে নিয়ে শিক্ষার্থী বুশরা মেহেজাবিনকে হল থেকে বের করে দেন। তখন শিক্ষার্থী বুশরা মেহজাবিন বলেন, আমি ম্যামকে বলি আমার পরিক্ষার খাতা নিয়েছেন কিন্তু আমার লুজ পেপারতো বেঞ্চে ফেলে রেখেছেন তারপরও কর্কশ গলায় আমাকে কোন সদুত্তর না দিয়ে হল রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন, তখন আমি বাসায় এসে আমার বাবাকে বললে আমার বাবা আমাকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে টিসার্স রুমে গিয়ে আফজাল স্যারকে ঘটনা খুলে বলে, স্যার তারপরে আমার দেখতে বলে সব ঠিক আছে কিনা, তখন আমি চেক করে দেখি একটা পৃষ্ঠা নাই, সাথে সাথে আফজাল স্যারের সহযোগিতায় আমি আমার বাবাকে নিয়ে পরিক্ষার হল রুমে গিয়ে লুজ পেপারটা খুজে এনে খাতার সাথে পিন আপ করে দিয়ে আসি। তার জন্য আজকে মঙ্গলবার আমার সমাজ পরিক্ষা চলাকালে অর্পনা ম্যাম পরিক্ষার হলে গিয়ে আমার রোল ২ বলে ডেকে আমাকে বিভিন্ন রকম অপমান জনক কথা যেমন, গতকাল তোমার বাবাকে স্কুলে এনেছিলে কেন, সে সাংবাদিক তাতে আমার কি করবে, এখন তোমার পরিক্ষা দেয়া বন্ধ করে দেব, আমি তোমার কি করতে পারি তোমার ধারনা নাই এবং আমার বাবাকে উদ্দেশ্য করে দেখে নেয়ার হুমকি ধামকি দেন। শিক্ষার্থীর অভিভাবক গাজী গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার মেয়ে রবিবার গনিত ও আজ মঙ্গলবার সমাজ পরিক্ষা চলাকালে শিক্ষিকা অপর্না দাস যে অপকর্ম করেছে তা আমার মেয়ে বুশরা মেহেজাবিন বাসায় এসে আমার কাছে কান্না বিজড়িত অবস্থায় আমাকে খুলে বলে। এতে আমি আমার মেয়ের শিক্ষা জীবন ও সার্বিক নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এরকম ঘটনা যাতে আর কারো সাথে না ভবিষ্যতে না ঘটে। এ বিষয় জানতে চাইলে শিক্ষিকা অপর্না দাস বলেন, পরিক্ষার সময় শেষ হলে আমি সিরিয়াল অনুযায়ী খাতা নিচ্ছিলাম তখন তুবা মেহজাবিন লেখার জন্য ১ মিনিট সময় চায় আমার কাছে, আমিও তাকে সময় দিয়ে অন্যদের খাতা নিয়ে টেবিলে গেলে সাথে সাথে তুবা মেহজাবিন তার ২ জন সহপাঠী সাথে নিয়ে আমার টেবিলে খাতাটা কোন রকম ফেলে চলে যায়, লুজ পেপার পিন আপ করা হয় পরিক্ষার সময় শেষ হওয়ার ৫/৭ মিনিট আগেই। তাই আমি খেয়াল করতে পারিনি যে ওর খাতার সাথে লুজ পেপার পিন আপ করা ছিল না। আমার জানা মতে সবার মূল উত্তর পত্রের সাথে অতিরিক্ত উত্তর পত্র পিন আপ করা হয়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয় আমার জানা নাই, কোন অভিভাবক অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ আসলে আমি খতিয়ে দেখবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।