বুধবার ● ৭ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » বিয়ের দাবীতে শিক্ষকের বাড়িতে ছাত্রীর অনশন
বিয়ের দাবীতে শিক্ষকের বাড়িতে ছাত্রীর অনশন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে ছাত্রীর প্রেম, বিয়ের দাবীতে শিক্ষকের বাড়িতে ছাত্রীর অনশন অতঃপর বিয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ৷ এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামের জি.কে.আই দাখিল মাদ্রাসায় ৷ এ ঘটনায় রবিবার সকালে ৩ গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ সভা করেছেন৷ উক্ত সভা থেকে শিক্ষককে ৩ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় মাদ্রাসা থেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ অন্যতায় বরখাস্থ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ৷
সূত্রে জানাযায়, পাঞ্জারাই গ্রামের রফিক মিয়ার বাড়ি থেকে ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়া করে আসছিল তার বাগি্ন গুতগাঁও গ্রামের সেবলু মিয়ার কন্যা সুমি বেগম ৷ পাঞ্জারাই গ্রামের জি.কে.আই দাখিল মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করে ৷ সেই সুবাদে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ইমামবাঐ গ্রামের সাইদুল হকের সাথে পরিচয় অতঃপর ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুমি বেগমের ৷ ২০১২ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উঠে লেখাপড়া বাদ দিয়ে দেয় সুমি ৷ কিন্তু সুমি মাদ্রাসায় না আসলেও শিক্ষকের নজড় রয়ে যায় সুমির দিকে ৷ বছরে পর বছর বহাল থাকে তাদের প্রেমের সর্ম্পক ৷ বাড়তে থাকে শিক্ষক ও ছাত্রীর প্রেমের বয়স ৷ এর মধ্যে উক্ত শিক্ষক প্রেমিকা সুমিকে বাদ দিয়ে অন্যত্র বিয়ে প্রস্তুতির খবর পেয়ে গত মাসের ৫ তারিখ সুমি বেগম বিয়ের দাবীতে অনশন করে শিক্ষক সাইদুল হকের নিজ বাড়িতে ৷ তার আত্মীয় স্বজন গিয়েও তাকে ফিরিয়ে আনতে চান কিন্তু সে আসতে না চাইলে এক পর্যায়ে গ্রামের মুরুবি্বদের সাথে কথা বলে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয় ৷ শেষে এর পরের দিন ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় ৷ এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্ঠি হয়৷ বিভিন্ন মহলে চলে নানা রসালো আলোচনা ৷ শিক্ষক ও ছাত্রীর এ ঘটনায় ফুসে উটেছে এলাকাবাসী ৷ রবিবার সকাল ১০টায় উক্ত মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ৩ গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ এতে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মফিজ উদ্দিন ৷ প্রতিবাদ সভায় সকলের মতের প্রেক্ষিতে শিক্ষক সাইদুল হককে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ৩দিনের মধ্যে মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় ৷
উক্ত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গুমগুমিয়া গ্রামের মেম্বার দিলাওর মিয়া, পাঞ্জারাই গ্রামের মেম্বার মনর মিয়া, সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলাম, সজ্জাত মিয়া, ফুরুক তালুকদার, অলিউর রহমান, মুজিবুর রহমান, আনছার মিয়া, প্রমুখ ৷
ঘটনাটির সত্যতা শিকার করে উক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবিএম মখলিছুর রহমান বলেন-ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী উক্ত শিক্ষককে অপসারনের দাবী জানিয়েছেন ৷ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে ৷ এ ব্যাপারে শিক্ষক সাইদুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ৷ আপলোড : ৭ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : দুপুর ২.৩৫ মিঃ