বৃহস্পতিবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » আসামি বহনকারী মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নারী নিহত
আসামি বহনকারী মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নারী নিহত
মিরসরাই (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পুলিশের আসামি বহনকারী মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফিরোজা বেগম (৫৪) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানার ঠাকুরদিঘী এলাকায় হাসপাতালে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত ফিরোজা বেগম মিরসরাই উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রামের হাজি মুজিবুল হক মিস্ত্রি বাড়ির এনামুল হকের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরদিঘী এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামীর একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ওই নারী মারা যান। তিনি বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তিনি দুর্ঘটনায় মারা যান। মাইক্রোটি জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশে হেফাজতে আছে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোমিতা রায় বলেন, ওই নারী হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। শরীরের বেশ কয়েটি স্থানে আঘাত পেয়েছেন।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে একটি ভাড়া করা মাইক্রো করে থানা থেকে কয়েকজন আসামি চট্টগ্রাম আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। পথে ঠাকুরদিঘী এলাকায় এক নারী রাস্তা পার হওয়ার সময় মাক্রোবাসের সামনে পড়ে মারা গেছেন। গাড়িটি থানায় আছে। আসামিদের আরেকটি গাড়ি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত নারীর মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। মাইক্রোটি থানা হেফাজতে আছে। এ ঘটনা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কুয়েতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধা আলাউদ্দিনের মৃত্যু
মিরসরাই :: কুয়েতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎনাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মিরসরাইয়ের বাসিন্দা রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো: আলা উদ্দিন (৫৮)।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে কুয়েত সাবাহ হাসপাতালে তিনি মারা যান। আলা উদ্দিন মিরসরাই উপজেলার ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়নের উত্তর ধুম বন্দেআলী ভূঁইয়া বাড়ির মরহুম আবুল কাশেমের ছেলে।
আলা উদ্দিনের ভাই সালাহ উদ্দিন বলেন, আমার ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ পূর্বে হাসপাতালে ভর্তি হন। উনার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় আজ অপারেশনের সীদ্ধান্ত ছিল। বিকেলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি আরো বলেন, আলা উদ্দিন ১৯৮৬ সাল থেকে কুয়েতে রয়েছেন। তার ৪ ছেলে রয়েছে।
কুয়েত প্রবাসী ও আলা উদ্দিনের চাচাত ভাই মো: আবুল খায়ের সেলিম বলেন, আমার জেঠাত ভাই প্রায় ৩৭ বছর ধরে কুয়েতে রয়েছেন। তিনি এখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি করতেন। বিকেলে সাবাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনি সকল প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লাশ দেশে পাঠানো হবে।
ধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন, আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলা উদ্দিন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। লাশ দেশে আনতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।