বুধবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়ি আসনে ৪ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
খাগড়াছড়ি আসনে ৪ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে বৈধ ৪প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামানের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ’র প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা(এমপি) নৌকা প্রতীক গ্রহণ করেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লী’গর সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী ও সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, মংক্যচিং চৌধুরী, এডভোকেট আশুতোষ চাকমাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা লাঙ্গল, তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা সোনালি আঁশ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তফা আম প্রতীক গ্রহণ করেন।
প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সকল প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ, ২৯৮নং খাগড়াছড়ি আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৭ ডিসেম্বর নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাকের পার্টির মোহাম্মদ হোসেন। তিনি খাগড়াছড়ি জেলা রির্টানিং অফিসারের কাছে দ্বাদশ নির্বাচনে প্রার্থী হলেও হঠাৎ করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১৬ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে।
এর আগে খাগড়াছড়ি আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার মধ্যে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা ও কংগ্রেস পাটির প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন বাতিল হয়ে যায়।
সিইসির ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি সংসদীয় (২৯৮) আসনে মোট ভোটার-৫লাখ ১৫ হাজার ৩৪৬ জন। তার মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৮৫ জন আর পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ৬১জন।