সোমবার ● ৮ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস’কে হারিয়ে নৌকার মাঝি রুহেল
মিরসরাইয়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস’কে হারিয়ে নৌকার মাঝি রুহেল
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রবিবার ৭ জানুয়ারি সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে সংসদীয় আসন-২৭৮, চট্টগ্রাম-১, মিরসরাই। এই সংসদীয় আসনের ১০৬ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থীসহ মোট ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাহবুব উর রহমান রুহেল ৮৯০৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগনেতা, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২৯৯৫ ভোট। যেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৩৬ হাজার ৬৯ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
নৌকা আর ঈগলপ্রার্থী ছাড়া ৫জন প্রার্থী যথাক্রমে, এমদাদ হোসাইন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৪০৮ ভোট, আবদুল মান্নান চেয়ার-২০৫ ভোট, মো. ইউসুফ টেলিভিশন-২০০ ভোট, নুরুল করিম আফছার একতারা-১৯৯ ভোট ও শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী হাত পাঞ্জা-৪৬ ভোট পেয়েছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এই ৭ প্রার্থী গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই শুরু করেন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৮টায় নির্বাচনের শেষ মুহুর্তের প্রচারণা শেষ করেছে প্রার্থীরা। অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ১০৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয় যেখানে ৭১৭ টি ভোটকক্ষের ৮২৩টি ব্যালট বক্সসহ পৌঁছে দেওয়া হয়।
শনিবার (৬ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ব্যালট পেপার ছাড়া ভোটের সকল সামগ্রী প্রিসাইডিং অফিসারদের বুঝিয়ে দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন। ঐসময় উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ নির্বাচন পরিচালনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উক্ত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ২১২ জন, পোলিং এজেন্ট ৭১৭ জন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ জন ও ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও আনসার ভিডিপি,পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিলো।