বুধবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গা ইউপি নির্বাচনের দুই বছর পর চেয়ারম্যান ঘোষণা
মাটিরাঙ্গা ইউপি নির্বাচনের দুই বছর পর চেয়ারম্যান ঘোষণা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার ২নং তবলছড়ি ইউপি নির্বাচনের প্রায় ২ বছর পর নৌকা মার্কার প্রার্থী নুর মোহাম্মদকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন আদালত।
গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি জর্জকোর্টের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জর্জ মাহমুদুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলামকে দিয়ে নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য যৌথভাবে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সিদ্ধান্তে এ রায় দেন।
এর আগে ২০২১সালে ১১নভেম্বর তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে নৌকা মার্কার ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক যোগ করে ৫০৬৬ পেয়ে নির্বাচিত হলেও কারচুপির মাধ্যমে রিটানিং অফিসার আরিফুর রহমান কর্তৃক ৫৬ ভোট কম দেখিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনারস মার্কার আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ উঠে। সরকার গেজেট প্রকাশ করার পর প্রায় দুই বছর ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন আবুল কাসেম ভূঁইয়া। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে নুর মোহাম্মদ ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ চট্টগ্রামে মামলা করলে সিনিয়র সহকারী জর্জ ব্যারিস্টার শাহ নেওয়াজ মনির কর্তৃক গত ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে, নৌকার প্রার্থী নুর মোহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আবুল কাসেম ভূঁইয়া গত ২০২৩ সালের ১২ জুনে খাগড়াছড়ি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জর্জ আদালত (নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল) এ আপিল করেন।
নৌকা মার্কার প্রার্থী নুর মোহাম্মদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জড়িত দায়িত্বরত রিটানিং অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার আমার সাথে অন্যায় করেছে এই অন্যায়ের কারণে ওই সময়ের নির্বাচনী ফলাফল, ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। আদালতে মামলা করি। আজ আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি।
পরাজিত চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া এ মূহূর্তে ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে বলে জানান।
এদিকে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (৬১) এর ধারা ৬ এর বিধি অনুযায়ী নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চুড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে বলে লিখা রয়েছে, যার ফলে চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া এর চেয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রইল না।