শিরোনাম:
●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   দীপংকর তালুকদার এর অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজয় দিবস পালিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি
বুধবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি

--- ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ পানছড়ির অনিলপাড়ায় রাষ্ট্রীয় বিশেষ গোষ্ঠির মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরা।

এ ঘটনায় জড়িত খুনিদের গ্রেফতার ও ন্যায় বিচার পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেছেন ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা।

মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনজন দাশ এর মাধ্যমে তারা এই স্মারকলিপি পেশ করেন।

স্মারকলিপিতে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি হয়ত ইতিমধ্যে অবগত থাকবেন যে, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ রাত আনুমানিক সাড়ে ন’টার সময় ১০ — ১১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অনিলপাড়ায় এসে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চকামা ও রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যা করে। এ সময় তারা অতুল চাকমার বাড়িতে রাত্রিযাপন করছিলেন, কারণ পরদিন ঐ এলাকায় একটি যুব সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।

‘সন্ত্রাসীরা উক্ত নিরপরাধ চার জনকে খুন করা ছাড়াও আরও তিন জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অবশ্য অপহরণের কয়েক দিন পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং তারা উক্ত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।’

স্মারকলিপিতে ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, খুনীদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য থাকা সত্বেও ঘটনার এক মাসের অধিক সময় পরও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

‘বরং খুনীরা বুক ফুলিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন জনকে ফোন করছে এবং বিপুলদের মতো আরও অনেককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা অত্যন্ত আশঙ্কিত যে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া না হলে তারা খুনসহ আরও জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে।

‘যাদের বিরুদ্ধে বিপুল চাকমাসহ চার জনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তারা আগেও খুন, অপহরণ, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, যা এলাকার সবাই অবগত।’

স্মারকলিপিতে তারা খুনিদের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি যে, খুনীরা বর্তমানে পানছড়ি বাজারের কাছে মানিক্যাপাড়ায় এবং ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া নামক স্থানে অবস্থান করছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হলে তারা অতি সহজে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে বলে আমরা মনে করি।

‘সরকারের পক্ষ থেকে খুনীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অর্থাৎ হত্যাকারীদেরকে আইনের আওতার বাইরে থাকতে দেয়া হলে পানছড়ি এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার আরও অবনতি ঘটবে এবং ফলতঃ আমরা সাধারণ জনগণ নিরাপদে ও নির্ভয়ে বসবাস করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো।’

স্মারকলিপিতে তারা ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো— (১) আপনার পক্ষ থেকে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার খুনীদের গ্রেফতার করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হোক; (২) খুনীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক এবং (৩) খুনীদের মদদদাতা ও খুনের পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদেরও বিচার করা হোক।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে ইউএনও অনজন দাশ ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন। এ সময় তিনি উক্ত খুনের ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং স্মারকলিপিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান।

এছাড়া তিনি স্মারকলিপি দিতে যাওয়া ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদেরকে কিছু কম্বল উপহার দেন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে সুনীল ত্রিপুরার পিতা সুকেন্দু ত্রিপুরা ও ছোট ভাই গনেশ ত্রিপুরা; রুহিন ত্রিপুরার স্ত্রী বাষ্পরাণী ত্রিপুরাসহ তার ছেলে-মেয়েরা; লিটন চাকমার মা বালা চাকমা ও ভাই মতি বিকাশ চাকমা, কাথাং ত্রিপুরার স্ত্রী অলকা রাণী ত্রিপুরাসহ নিহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ও স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন।

চার নেতা খুনে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (নব্যমুখোশ) ভেঙে দেয়ার দাবিতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার ১৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির রামগড় এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও নান্যাচর উপজেলায় পৃথক পৃথকভাবে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
রামগড়:
পানছড়িতে বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙ্গে দেয়ার দাবিতে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ), রামগড় উপজেলা ইউনিট।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রামগড় উপজেলা সদর এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইউপিডিএফের রামগড় উপজেলা ইউনিটের সংগঠক নিটুন চাকমার সভাপতিত্বে ও সংগঠক সুভাষ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ রামগড় উপজেলা ইউনিটের সংগঠক সুবর্ণ মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলার সভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রামগড় উপজেলা সহ-সভাপতি রাজু ত্রিপুরা ও রামগড় ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি সুমন্ত কান্তি চাকমা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পানছড়ি অনিলপাড়া নামক স্থানে পাহাড়ে তরুণ রাজনৈতিক নেতা বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনকে হত্যা করা হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক মাস পার হলেও খুনীদের এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা খুনীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার পার্বত্য অঞ্চলে জুম্ম দিয়ে জুম্ম হত্যার ষড়যন্ত্র জারি রেখেছে। বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা বা খুনীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার মাধ্যমে তা প্রতীয়মান হয়।
শাসকগোষ্ঠি পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন-গুম-অপহরণ জিইয়ে রেখে পাহাড়িদের ভূমি বেদখল করা চক্রান্ত চালচ্ছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, গত কয়েকদিন আগে রাঙামাটির জুড়াছড়িতে সেনাবাহিনী সহায়তায় সেটলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়িদের ভূমি বেদখলের চেষ্টা ও প্রতিবাদকারী পাহাড়িদের সেনা ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
বক্তারা শাসকগোষ্ঠির সকল অন্যায়-অবিচার ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে বক্তারা, পানছড়িতে চার জনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, রাষ্ট্রীয় বাহিনী পৃষ্ঠপোষকতায় সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (নব্য মুখোশ) ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জানান।
এছাড়াও তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতেরও দাবি করেন।

বাঘাইছড়ি:
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের বালুঘাট হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সাজেকের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেতকাবা চৌমুহনীতে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ১২শ’ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে তারা বিপুলসহ চার নেতার খুনিদের গ্রেফতারের দাবিসহ বিভিন্ন শ্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সংগঠক ইয়ান চাকমা।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখা সভাপতি নিউটন চাকমার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি বিরো চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য অর্পনা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি কিরন চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন দমন করার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর খাগড়াছড়ি ব্রিগেড কমাণ্ডার আব্দুল মোতালেব-এর তত্ত্বাবধানে ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনী গঠন করা হয়। যারা আজ খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
তারা পানছড়ি হত্যাকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, গত বছর ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মদদে ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
তারও আগে ২০১৮ সালে সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়িতে মিঠুন চাকমাকে হত্যা, স্বনির্ভর বাজারে প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করে ৭ জনকে হত্যাসহ এ যাবত ইউপিডিএফ’র নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ ৫৫ জনকে হত্যা করেছে।
কিন্তু কোন হত্যাকাণ্ডেরই জড়িত খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার করা হয়নি।
বক্তারা পানছড়িতে চার নেতা হত্যার ঘটনায় এক মাসেও খুনিদের গ্রেফতার না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, পানছড়ি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রতিবাদ সংগঠিত হলেও সরকার খুনিদের গ্রেফতার করছে না। উপরন্তু খুনিদেরকে সেনাবাহিনীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রেখে আবারো খুনের পরিকল্পনাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সন্ত্রাসীরা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, এখন তারা পানছড়ি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বীদেরকেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
জনতার আদালতে খুনিদের বিচার হবে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, সরকার ও তার প্রশাসন খুনি ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের জামাই আদরে আগলে রেখে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। কাজেই গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমেই জনতার আদালতে খুনিদের বিচার করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে খুন-গুম করে ইউপিডিএফের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন কখনো দমন করা যাবে না।
তারা ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে ছাত্র-যুব-নারী সমাজসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবশে থেকে বক্তারা অবিলম্বে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙ্গে দিয়ে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

নানিয়ারচর:
রাঙামাটির নান্যাচরে একই দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নান্যাচর উপজেলা শাখাসমূহের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ দুপুর ১২টার সময় নান্যাচরে সদরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নান্যাচর উপজেলা শাখার সভাপতি প্রিয়তন চাকমার সভাপতিত্বে ও সুমেত চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রিপন আলো চাকমা ও নান্যাচর উপজেলা শাখার সহ সভাপতি বিকাশন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বিপুল চাকমাসহ ৪ খুনের ঘটনাটি একমাস পার হলেও খুনিদের গ্রেফতার না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এত বড় একটি হত্যাকাণ্ডের পরও প্রশাসন যেখানে নির্লিপ্ত থাকে সেখানে সাধারণ জনগণ কীভাবে নিরাপদে থাকবে?
তারা অভিযোগ করে বলেন, খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা এখন দিব্যি প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে, জনপ্রতিনিধিদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় একটি বিশেষ গোষ্ঠি খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, কিছুদিন আগে খাগড়াছড়ি বিগেডের জি-টু মেজর জাহিদ হাসান খুনিদের সাথে দেখা করে আরো নতুন খুনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে মিডিয়ায় খবর হয়েছে। খুনিরা এখন খাগড়াছড়ির দেওয়ান পাড়া সেনা ক্যাম্পের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রয়েছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের খুনিদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং রাষ্ট্রীয় মদদে সৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (নব্যমুখোশ) ভেঙে দেয়ার জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় রাষ্ট্রীয় বিশেষ গোষ্ঠির মদদে ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা, পিসিপির বর্তমান কমিটির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডের এক মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন এখনো খুনিদের গ্রেফতার না করে নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)