শুক্রবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » চার নেতার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ
চার নেতার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, খাগড়াছড়ির পানছড়িতে গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ রাষ্ট্রীয় বিশেষ গোষ্ঠির মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফের চার ছাত্র-যুব নেতা বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডের এক মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন এখনো হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করায় ইউপিডিএফ ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি চার নেতার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষিত ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে খাগড়াছড়ি সদর, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও মহালছড়িতে এবং রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে।
একই দাবিতে এর আগে গত ১৭ ও ১৮ জানুয়ারিও পর পর বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
খাগড়াছড়ি সদর:
বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী (নব্যমুখোশ) ভেঙে দেয়ার দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি ২০২৪) খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া এলাকায় এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে পিসিপি’র খাগড়াছড়ি খাগড়াছড়ি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক তৃষ্ণাঙ্কর চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি শান্ত চাকমা।
সমাবেশে পিসিপি নেতা শুভাশীষ চাকমা বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা পানছড়ির অনিলপাড়ায় পরিকল্পিতভাবে বিপুল-লিটন-সুনীল-রুহিনকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের এক মাস পার হলেও সরকার-প্রশাসন খুনিদের গ্রেফতার করছে না।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব ও মেধাশুন্য করতে এবং পুর্ণস্বাত্তশাসনের আন্দোলনকে দমন করতে সেনাবাহিনী ও ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত খুন-গুম-ধর্ষণ-ভূমি বেদখলের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে।
শুভাশীষ চাকমা আরো বলেন, পৃথিবীতে ন্যায়-অন্যায় যুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষেই বিজয় অর্জিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমনের জন্য সরকার-শাসকগোষ্টী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষণিকের জন্য ব্যাঘাত সৃষ্টি করলেও আন্দোলন জারি রয়েছে। আগামীতে এ আন্দোলন আরো জোরদার হবে।
তিনি শহীদের স্মৃতিকে শক্তিতে পরিণত করে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমাজের দালাল-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
শান্ত চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের প্রাণের দাবি পুর্ণস্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনের উত্তাল গণজোয়ারকে দমাতে সরকার কখনো প্রকাশ্যে, কখনো ভাড়াটে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীকে ব্যবহার করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। খুনীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে ঘুরাফেরা করলেও প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, খুনী রোমেল-পিন্টু গংরা আরো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার প্রকাশ্যে হুমকি দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহন তো দূরের কথা, উল্টো সন্ত্রাসীরা যাতে নিরাপদে অপকর্ম সংঘটিত করতে তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যার ফলে খুনি-সন্ত্রাসীরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সেনা-প্রশাসনের ছত্রছায়ায় খুনিদেরকে পানছড়ি বাজার ও খাগড়াছড়ি সদরের ভাইবোনছড়া দেওয়ান পাড়ায় সেনা ক্যাম্পের পাশে রেখে জনগণের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে বিপুল-লিটন-সুনীল-রুহিন এর হত্যাকারী রোমেল-পিন্টু গংদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি, ঠ্যাঙাড়েদের সেনা মদদদান বন্ধ করা এবং ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনী ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।
মানিকছড়ি:
বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেওয়ার দাবিতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, মনিকছড়ি উপজেলা শাখা যৌথভাবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় মানিকছড়ি উপজেলা সদরের জামতলা থেকে খাগড়াছড়ি - চট্টগ্রাম সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পিষ্টতলা, পেট্রোল পাম্প ঘুরে আবার জামতলায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিসিপি’র মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি অংহ্লাচিং মারমা।
পিসিপির মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতুসে মারমার সঞ্চালায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের মানিকছড়ি ইউনিট সংগঠক অংচি মারমা ও নারী আত্মরক্ষা কমিটির মানিকছড়ি উপজেলা আহ্বায়ক মিলি মারমা।
বক্তারা বলেন, পানছড়ির অনিল পাড়া গত ১১ ডিসেম্বর রাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদে ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হলেও ঘটনার এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও প্রশাসন হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রেখেছে।
সেনা-প্রশ্রাসনের আশ্রয়ে থেকে খুনিরা খাগড়াছড়ি বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি ও পানছড়ি উপজেলার জনপ্রতিনিধি, মুরুব্বীসহ সাধারণ জনগণকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা শাসকগোষ্ঠির সকল দমন-পীড়ন ও ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এলাকায় এলাকায় রুখে দাঁড়িয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ছাত্র-যুব-নারী সমাজসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে বিপুল চাকমাসহ চার নেতার হত্যাকারী ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষিত ঠ্যাঙাড়ে (নব্যমুখোশ) বাহিনী ভেঙে দেওয়ার জোর দাবি জানান।
মাটিরাঙ্গা:
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গিা উপজেলার আমতলি ইউনিয়নে ইউপিডিএফের গোমতি ইউনিটের উদ্যোগে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় আমতলি ইউনিয়নের বড় পাড়া হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্বরাম কার্বারীপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে তারা বিপুলসহ চার নেতার খুনিদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে ইউপিডিএফ-এর গোমতি ইউনিটের সমন্বয়ক সুইমং মারমার সভাপতিত্বে ও সংগঠক পিবির চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলার শাখার সভাপতি রিকেন চাকমা ও এলাকার জনপ্রতিনিধি ও কার্বারিবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ পানছড়িতে সেনা মদদে বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের এক মাসেও গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, খুনিরা প্রকাশ্য সশস্ত্র কর্মকাণ্ড চালালেও প্রশাসন তাদের দেখেও না দেখার ভাণ করে রয়েছে। ফলে সন্ত্রাসীরা এখন জননিরাপত্তার চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা এখন জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
বক্তারা চার নেতার খুনিদের জনতার আদালতে বিচার হবে উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এই খুনি ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করবে। মুক্তকামী জনগণ আর তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করবে না।
অন্যায় দমন-পীড়ন ও ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমানো যাবে না বলে বক্তরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বক্তারা সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সর্বত্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবশে থেকে বক্তারা অতি দ্রুত বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জানান।
মহালছড়ি:
বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার বেলা ২টার সময় মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের যৌথখামার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি যৌথ খামার দোকান হতে শুরু হয়ে দুরছড়িতে গিয়ে শেষ হয়।
পরে পিসিপি’র মহালছড়ি উপজেলার সাবকে সভাপতি সুমন্ত চাকমার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্তভাবে বক্তব্য দেন বিজগ খীসা ও স্থির চাকমা।
বক্তারা এক মাস পার হওয়ার পরও পানছড়িতে চার নেতা হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা কতিপয় সেনা কর্মকর্তা খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দিয়ে আরো নানা ধরনের সহিংস ঘটনা সংঘটিত করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন।
বক্তারা অবিলম্বে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার খুনিদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভাড়াটে খুনী ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার জোর দাবি জানান।
কাউখালী (রাঙামাটি):
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায়ও চার নেতা বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি ২০২৪) দুপুর দুটায় ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কাউখালী শাখাসমূহের যৌথ উদ্যোগে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক অভি মার্মা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি থুইনু মং মার্মা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি দীপায়ন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন কাউখালী উপজেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মাওচিং মার্মা ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এক অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী বিভিন্ন ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী সৃষ্টি করে পুরো পাহাড়কে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তাদের মদদে সন্ত্রাসীরা এলাকায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১১ ডিসেম্বর এই খুনি-সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফ-এর চার তরুণ নেতাকে নির্মমভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে।
বক্তারা আরো বলেন, প্রশাসন খুনীদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি চার নেতা হত্যার এক মাস অতিবাহিত হলেও খুনিরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। যার ফলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবি জানান।
প্রশাসন যদি খুনিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয় তবে জনগণ আইন নিজ হাতে তুলে নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।