শনিবার ● ২০ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » শিক্ষাপল্লী পার্কের রাউডিশ রেস্টুরেন্ট নজর কেড়েছে সকলের
শিক্ষাপল্লী পার্কের রাউডিশ রেস্টুরেন্ট নজর কেড়েছে সকলের
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগরে আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষাপল্লী পার্কের মধ্যে রাউডিস রেস্টুরেন্ট (গোলাকৃতি ভোজনালয়) এর উদ্বোধন হয়েছিল গত ২০২২ সালের ৮ জুলাই তারিখে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য উক্ত রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রধান অতিথি দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ। গত দেড় বছরের মধ্যে রেস্টুন্টেটি যেমনটি ভ্রমন পিপাসু ব্যক্তিদের নজর কেড়েছে ঠিক তেমনি নজর কেড়েছে শিক্ষাপল্লী পার্কটিতে। প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমন পিপাসু মানুষেরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন পার্কটিতে। পার্কটির মধ্যে যে গোলাকৃতি ভোজনালয় রয়েছে তা আগে সকলের নজরে আসেনি। আস্তে আস্তে রেস্টুরেন্ট এর খবর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষেরা ভিড় জমাচ্ছে পার্কটির মধ্যে সেইসাথে রাউডিস রেস্টুরেন্ট’এ গিয়ে বিভিন্ন ধরনের থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান ও বাংলা খাবার খেয়ে বাড়ী ফিরছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত রেস্টুরেন্টে ঢাকার ফাইভ স্টার হোটেলের দক্ষ রাধুনি এনে ভ্যারাইটিজ জাতীয় থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান ও বাংলা খাবার খাবার তৈরী করছেন মনোরম পরিবেশে। সম্পূর্ন নিরিবিলি সাজানো গোছানো ছিমছাম ও মনোরম পরিবেশে খাবার পরিবেশন করছেন ওয়েটাররা। উক্ত ওয়েটাররাও ঢাকার নামী দামী হোটেল থেকে এনে এখানে নিয়োগ দিয়েছেন শিক্ষাপল্লীর মালিক আলাউদ্দিন আহমেদ। রেস্টুরেন্টে গিয়ে আরো যে জিনিসটি লক্ষ্য করা গেছে সেটি হল গ্রামীন ঐতিয্যকে তুলে ধরেছেন দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ। চিনামাটির প্লেট ও মাটির তৈরী উন্নতমানের ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত প্লেটে। প্লেট গুলা দেখতে অতি অসাধারন যা চিনা মাটির তৈরী প্লেটকেও হার মানিয়েছে। তবে ভোজন পিপাসু ব্যক্তিদের ইচ্ছেমত প্লেটে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। তবে উক্ত শিক্ষাপল্লীর মধ্যে অবস্থিত রাউডিস রেস্টুরেন্ট খাবারের মধ্যে সকলের মন জয় করেছে পিজ্জা। এ বিষয়ে রেস্টুরেন্টে দায়িত্ব থাকা মিলনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই গোলাকৃতির ভোজনালয়ের মধ্যে তৈরীকৃত খাবারের মধ্যে সকলের প্রেয় খাবার হচ্ছে পিজ্জা, এই পিজ্জাটাই সবচেয়ে বেশী পরিমান বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান ও বাংলা খাবারও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভোজন পিপাসুদের। তিনি এটাও বলেন, শুধু এখানেই বসেই খাননা। এখানে ডেলিভারী সিস্টেমও আছে প্রতিনিয়ত এই রেস্টুরেন্ট থেকে কুষ্টিয়া, কুমারখালীর বিভিন্ন স্থানে অর্ডার মতে খাবার পৌছায়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য ২০১৫ সালে কুমারখালীর কৃতি সন্তান, হেলথকেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান, আলাউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, শিক্ষানুরাগী, আলাউদ্দিন নগরের রূপকার ও শিক্ষাপল্লীর জনক দানবীর ড. আলাউদ্দিন আহমেদ এই পার্কটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের জন্য পার্কটি ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়ার বাইরে থেকে দর্শনার্থীরা বেড়াতে আসছে শিক্ষা পল্লী পার্কে। পার্কটির মধ্যে ঢুকতেই চোখে পড়বে জাতীয় মানের একটি সৌন্দর্যপূর্ণ গেট। তার আগে চোখে পড়বে গেটের বাইরে বাউন্ডারি প্রাচীরের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মৃতি। ভেতরে ঢুকে আরো চোখে পড়বে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মনীষীদের বাণী। বাউন্ডারি ঘেরা বিশাল বড় এরিয়া জুড়ে চোখে পড়বে, নাইড ডি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেম, বাম্পার ক্যার, মেরী গ্রাউড ঘোড়া রাইড, টুইস্ট রাইটার, সুইম চেয়ার রাইটার, পাইরেট শিপ নৌকা রাইড, বুলেট ট্রেন, দৃষ্টিনন্দন পুকুরের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির হরেক রঙের মাছ, নৌকা, স্প্রীট বোর্ড, সাবলীল পরিবেশে পিকনিক স্পট সহ বিভিন্ন রকমের ড্রাইভ। টুরিস্টদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে কটেজ। অন্যদিকে পার্কটির দক্ষিণ সংলগ্ন পিতামাতার স্মরনে প্যারেন্টস লজ মনোমুগ্ধকর চতুর্থ তলা ভবন নির্মান করেছেন। এই ভবনটি হওয়াই পার্কটির সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে। তবে শিক্ষণীয় পার্কটির পরিপূর্ণতা ফিরে আসায় কুষ্টিয়া জেলা নয় বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।