শুক্রবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » জাতীয় » দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই: সাইফুল হক
দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই: সাইফুল হক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ভোটের নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করে দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের পথে ঠেলে দেয়া হয়েছে। দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই, কর্তৃত্ববাদী শাসনকে নিরংকুশ করতে যেয়ে সরকার ও সরকারি দল সকল সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভংগুর ও অনুগত প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। আজ ২৬ জানুয়ারী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির সভার প্রথম দিনে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে যেয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাস্তবে এক লুটেরা মাফিয়াতন্ত্র দেশকে আজ দখল করে ফেলেছে। ভোটের নামে দেশের জনগণকে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে যে অপমান করা হচ্ছে সমকালীন বিশ্বে এরকম উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর।
তিনি বলেন, নজিরবিহীনভাবে ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করে দেশের মানুষ সরকার ও সরকারি দলের বিরুদ্ধে গণঅনাস্থা জানিয়েছে। এটা বিরোধী দলসমূহের রাজনৈতিক বিজয়।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারীর গণঅনাস্থার পর বাস্তবে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনায় সরকারী দলের আর কোন রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই। জনম্যান্ডেটহীন এই সরকারকে প্রলম্বিত করারও কোন অবকাশ নেই। এখন এই গণঅনাস্থাকে রাজপথে গণসংগ্রাম আকারে বিস্তার ঘটানোই বিরোধী দলসমূহের প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য।
তিনি বিগত আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্রুত আন্দোলন পুনর্গঠনে এগিয়ে আসতে সকল বিরোধী দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বহ্নিশিখা জামালী,আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, এপোলো জামালী, নির্মল বড়ুয়া মিলন, সজীব সরকার রতন, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, নীলুফার ইয়াসমিন, আবুল কালাম আজাদ, সাবিনা ইয়াসমিন, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে যশোরের শার্শা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি- বিএসএফ কর্তৃক বিএসএফ সদস্য রইশুদ্দিনের নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবি থেকে প্রয়োজনীয় প্রতিবাদ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করা হয় এবং বলা হয় অনুগত পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যাবেনা।
সভার শুরুতে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ ও ইজরায়েলী আগ্রাসনে গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।