বুধবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » সাজেকে ইউপিডিএফের আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালিত
সাজেকে ইউপিডিএফের আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালিত
ইউপিডিএফ-মূল এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পিসিজেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপের সন্ত্রাসী কর্তৃক দুই ইউপিডিএফ-মূল এর সদস্য আশীষ চাকমা ও দীপায়ন চাকমাকে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে রাঙামাটির সাজেকে ইউপিডিএফের আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও পরে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে অবরোধের সময় পরিবর্তন করে আধাবেলা করা হয়।
অবরোধ সফল করতে আজ সকাল থেকে ইউপিডিএফের নেতা-কর্মীরা সাজেকের বাঘাইহাট রেতকাবা চৌমুহনী, নন্দরাম, ১৩ কিলো, মাচলং এলাকায় পর্যটন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে পিকেটিং করেন। এ সময় তারা আশীষ ও দীপায়ন চাকমার খুনি সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে শ্লোগান দেন।
অবরোধের কারণে সড়কে তেমন কোন যানবাহন চলাচল করেনি। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাহারায় পর্যটনগামী গাড়িতে করে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা স্থানীয় জনসাধারণসহ যানবাহন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি অবিলম্বে আশীষ ও দীপায়ন চাকমার খুনি সন্তু লারমার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান হত্যাকাণ্ডের প্রধান ইন্ধনদাতা হচ্ছেন শাসকগোষ্ঠি ও সন্তু লারমা। তারাই কায়েমী স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে খুন—খারাবির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি জিইয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
তিনি শাসকগোষ্ঠির সকল অন্যায় দমন-পীড়ন ও ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে খুন—গুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
একই সাথে তিনি শাসকগোষ্ঠির খপ্পড় থেকে বেরিয়ে এসে খুনের রাজনীতি পরিহারপূর্বক জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য সন্তু লারমার প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়া এলাকায় জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফ-মূল এর সদস্য আশীষ চাকমা ও দীপায়ন চাকমাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এখনো খুনিদের গ্রেফতার করা হয়নি।