বুধবার ● ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ৭ বছরে ও জুটেনি ফিরোজার বিধবা ভাতার কার্ড
৭ বছরে ও জুটেনি ফিরোজার বিধবা ভাতার কার্ড
মাহমুদুল হাছান, সন্দ্বীপ প্রতিনিধি :: সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কাঙালি মাঝির বাড়ি মৃত আবুল আলাম প্রকাশ লেদুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম ( ৪৯) দীর্ঘ দিন যাবৎ একটি বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য এ দরজা থেকে ঐ দরজা ঘুরাঘুরি করে আজ ও কার্ড পান নি। তার পরনে ছেঁড়া কাপড়, ঘরে বেড়া নেই, চোখে মুখে অপুষ্টির চিহ্ন। অপরের কাছে হাত পেতে কোনোমতে জীবন যুদ্ধে ঠিকে আছেন অসহায় ও হতদরিদ্র এক অশীতিপর বিধবা মহিলা ফিরোজা।২০১৭ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসার মারা যান কৃষক স্বামী আবুল আলাম । ভিটেবাড়ি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। ভিটেবাড়ি যেটি আছে সেটি থেকে আবুল আলামের অন্য সংসারের ছেলে তাড়িয়ে দেয় তাকে। ব্যাক্তি জীবনের ফিরোজার কোন ছেলে মেয়ে নেই, এ পৃথিবীতে এখন তার কোন স্বজন নেই। মানুষের কাছে হাত পেতে কোনো মতে অর্ধাহারে দিনানিপাত করছে সে। বর্তমানে ফিরোজা বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতা বা ১০ টাকা দামের চাউলের কার্ড কোনোটাই তার ভাগ্যে জোটেনি। বিভিন্ন সময়ে ইউপি সদস্য তাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা গুড়েবালি। ফিরোজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ৭ বছর ধরে নারী (বিধবা) হলাম, মরার পর ভাতা দিয়ে কি করব। আমি এখন বেচে থাকার জন্য চেয়ারম্যান বা সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চাচ্ছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত হারামিয়া ইউনিয়নের সমাজকর্মী মাকছুদ রহমান বলেন এটা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জেনে নিতে, অনলাইনে আবেদন করে নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের মাধ্যমে যোগাযোগ করে করে চেয়ারম্যান মাধ্যম হয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে প্রেরণ করতে হবে।
সন্দ্বীপে গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনায় আহত-১
সন্দ্বীপ :: গত ১২ ফেব্রয়ারি রাত তিনটার সময় সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ৩ নং ওয়ার্ডে মানিক সওদাগরের বাড়ির রাস্তায় ডাকাতদের হামলার শিকার রাকিব বর্তমানে চট্টগ্রাম ডেল্টা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। ডাকাতদের হামলায় আহত রাকিবের ওটিতে অপারেশন হলে ও তিনি এখনো ঝুঁকিমুক্তনন। জানা গেছে রাকিব রবি টেলিকমের এসআর পদে চাকরি করছেন তার পিতা ৩ নং ওয়ার্ডে একটি মুদির দোকানদার। রাকিব প্রতিদিনের মতো ঐ দোকানে রাতে ঘুমালে রাত তিনটার দিকে ডাকাত দল তাদের দোকান ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তার থেকে রবি টেলিকমের টাকা চাইতে থাকে এবং সে টাকা দিতে রাজি না হলে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন এবং তাকে জবাই করে দেওয়ার জন্য উদ্ধত হই ডাকাতেরা পরে রাকিবের চিৎকারে মা ঘটনাস্থলে এসে গেলে ডাকাতেরা দোকানের টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিস পত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে দ্রুত স্থানীয় সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কতৃব্যরত ডাক্তারেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ নিয়ে যেতে বলে। স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে জানা যায় এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন ডাকাত ঐ এলাকায় কয়েকদিন ধরে বিচরণ করতে থাকে। উল্লেখ্য মগধরা ৩ নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে অনেকগুলো চোর- ডাকাত বিচরণ ও বসবাস করে আসছে অনেকবার তাদের প্রশাসনের ধরিয়ে দেয়া হলেও তারা স্থানীয় প্রভাবে মুক্ত হয়ে আবার চুরি - ডাকাতি করতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার ওসি তদন্তের মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায় নি।