শুক্রবার ● ৮ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সিলেটে নর্দমা থেকে নবজাতক উদ্ধার
সিলেটে নর্দমা থেকে নবজাতক উদ্ধার
হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধি :: কুকুরের মুখে সদ্যজাত শিশুকন্যার দেহ। মানবতা হয়েছে লুন্ঠিত। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট মহানগরের ১৮ নং ওয়ার্ড এলাকায়। বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ সকালে ঝর্ণাপাড়ার নর্দমা থেকে একদল কুকুর সেই শিশুটিকে খাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তায় নিয়ে আসলে স্থানীয় এক মহিলার চোখে পড়ে। এবং সেই নারী শিশুটিকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ বি এম জিল্লুর রহমান ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়ে নিজ তত্ত্বাবধানে শিশুটিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানা, ঝর্ণাপাড়া এলাকার একটি নর্দমা থেকে একদল কুকুর সেই শিশুটিকে খাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তায় নিয়ে আসলে আমাদের চোখে পড়ে। স্থানীয় এক নারী শিশুটিকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় কাউন্সিলর এর তত্বাবধানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির হাত-পা, পিঠ ও গলায় বেশ কিছু ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। এমনকি নাড়িও কাঁটা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী জানান, একদিন বয়সী শিশুটিকে সকালে এক নারী কাউন্সিলর এর তত্বাবধানে ওসমানীতে ভর্তি করেন। শিশুর শরীরের বেশ কিছু ক্ষত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কুকুরে কামড়ে এসব ক্ষত হয়েছে। শিশুটি শঙ্কামুক্ত নয়। তবে আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রেখেছি।
সিলেটে সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি
সিলেট :: সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ও জেলা প্রশাসক বরাবরে নগরীতে বন্দোবস্তকৃত সরকারি ভিপি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ভুক্তভোগী সতীশ দেব নাথ ঝন্টু। গত ২৯ ফেব্রুয়ারী এ অভিযোগ করা হয়েছে। সিলেট নগরীতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী এবং অসৎ তৎপরতায় রাতের আধারে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি সিলেট নগরীর জামতলায় দখল করে আস্তানা গেঁড়েছে একটি মহল।
প্রশাসনের কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সিলেট নগরীর জামতলায় অবস্থিত পুকুর ডোবা রকম ভিপি ভূমি ২৯৪/৭৬-৭৭ মামলা এর অর্ন্তভুক্ত বিগত ১৮/০৯/২০০৫ ইং তারিখে এস এ ভিপি ৪৯৬ নং স্মারকে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে ভিপি ভুক্ত সম্পত্তি বন্ধোবস্ত গ্রহণ করে ভুমির চারদিক সীমানা সংস্কার রক্ষনাবেক্ষণ মাটি ভরাট উন্নয়ন সাধন করে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেন। এই ভুমির বন্দোবস্ত গ্রহণ কালে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ১ম শ্রেণির বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ইরশাদুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ ফোর্স এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসনের উপস্থিতিতে আইন কানুন মেনে সতীশ দেব নাথ ঝন্টুকে উক্ত ভুমির দখল দায় দায়িত্বসমজিয়ে দেওয়া হয়। পরে এই ভূমিতে কুদৃষ্টি পড়ে একটি ভুমি খেকো মহলের। এই চক্রটি উক্ত ভুমি অন্যায়ভাবে আত্নসাৎ করতে বিভিন্ন সময় উক্ত জায়গার দখল ও বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে হুমকি, ভয়ভীতি অব্যাহত রাখে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সতীশ দেবনাথ ঝন্টু সিলেট কোতোয়ালী থানায় গত ২১/০২/২০০৮ ইং তারিখে ১৪০৩ নং একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অন্যদিকে ভুমি খেকো চক্র সরকারের বিরোধী একটি গোষ্ঠিকে ভাড়া করে প্রতি নিয়ত মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রভৃতি আন্দোলন করে অসৎ তৎপরতার মুখে সিলেট জেলা প্রশাসক উক্ত ভিপি ভুমির বন্দোবস্তটি গত ১০/০৪/২০০৬ইং ভিপি ১০২ (২) এস. এ স্মারকে বাতিল করেন।
এই আদেশের বিরুদ্ধে সতীশ দেব নাথ ঝন্টু বিভাগীয় কমিশনার রাজস্ব আদালতে মিস কেইস নং ১৫/২০০৬ আপিল করেন। আপিলে গত ০১/০৬/২০০৬ ইং শুনানীতে উক্ত ভুমির বন্ধোবস্ত পুনর্বহালে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। সে জন্য ভুমির দখলে থেকে সতীশ দেবনাথ ঝন্টু নিয়মিত ভুমির খাজনা দিতে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আবেদন করেন এবং মহামান্য হাই কোর্টে রিট পিটিশন ৪৪২৭/২০০৬ দায়ের করলে মহামান্য হাইকোর্ট পূণঃবন্দোবস্ত এবং খাজনা গ্রহনের আদেশ প্রদান করলে জেলা প্রশাসক খাজনা গ্রহন পূর্বক বন্দোবস্ত বহাল করেন।
বিগত সরকারী গেজেটে ভুলবশত তপশিল বর্ণিত ভুমি ‘খ’ গেজেটে লিপিবদ্ধ হয়। এই ভুল সংশোধনের জন্য গত ২৪/০৩/২০১৪ ইং সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসক এই ভু-সম্পত্তি ‘ক’ গেজেটে সংশোধনের জন্য গত ৩০/০৪/২০১৪ইং ৪৭১ নং স্মারকে বিষয়টি ভুমি মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেন। সরকারী গেজেটে প্রদর্শণী ‘ক’ উপস্থাপিত পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৫৬২৯, ৫৬৫৫ নং দাগ লিপিবদ্ধ রয়েছে । কিন্তু গেজেটে ভুলবশত ৫৬৫৪ দাগ বাদ পড়েছে। ভুক্তভোগী সতীশ দেব নাথ ঝন্টু জীবনের সর্বস্ব খুইয়ে বন্ধোবস্তকৃত ভুমি রক্ষা করতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বন্ধোবস্তকৃত সম্পত্তি তিনির নামে ফিরে পেতে এবং অসৎ দূনীতিবাজ চক্রের কবল থেকে বিতর্কিত নামজারী, রায় বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
বর্তমানে ভিপি মামলা নং ২৯৪/১৯৭৬-৭৭ নামে অর্পিত সম্পত্তি ‘ক’ গেজেটে অর্ন্তভুক্ত থাকা সত্বেও তাহা অবমুক্ত না করে নামজারী মোকদ্দমা নং ২৮৮৬/১৫-১৬ মূলে কতিপয় ব্যক্তিগণের নামে নামজারী আবেদন করলে সদস্য ২, ভুমি আপিল বোর্ডের ২-৩৫/১৮ইং মামলার আদেশ অনুযায়ী উল্লেখিত নামজারী নম্বর উল্লেখ না করে নতুন কল্পে নাঃ মোঃ নং ৩৪৯ (১দ্ধ১) ২৩-২৪ নামজারী মূলে মহানগর রাজস্ব ভুমি অফিসের অসাধুকর্মকর্তাদের যোগাযোগীতে উক্ত জায়গা অসৎ ভাবে নামজারী করে তার দখলকৃত ভূমি আত্নসাত করার উদ্দেশ্যে রাতের আধারে দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।