শনিবার ● ৬ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » অর্থ সংগ্রহের জন্য এই হামলা হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত সরকার মনে করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অর্থ সংগ্রহের জন্য এই হামলা হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত সরকার মনে করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বান্দরবানে হামলা ও ব্যাংক লুটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শনিবার বান্দরবান সফরে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অস্ত্র–পোশাকসহ তারা ঢুকবে, আর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে, তা কাম্য নয়। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। কোনোক্রমেই আইন ভঙ্গ করতে দেব না।’
আজ শনিবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা উপজেলা কার্যালয়ের সামনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকে। এখানে এ রকম কোনো ঘটনা হবে, আমরা চিন্তা করিনি। হঠাৎ করে কেন ঘটল, তদন্ত করা হচ্ছে।’
অর্থ সংগ্রহের জন্য এই হামলা হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত সরকার মনে করছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবকিছু বের করা হবে। আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখছি।’
পরপর তিন দিন কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যৌথ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। তারা তাদের মতো করে কাজ করবে। আমরা এদের উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করব।’
ব্যাংকের টাকা লুট ও হামলার বিষয়ে আগাম কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারও কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা সরকার খতিয়ে দেখবে ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনসার সদস্যদের খোঁজ নেন। এরপর পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখা পরিদর্শন করেন। এই শাখার ভল্ট ভেঙে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। মন্ত্রী পরে বান্দরবান সদরের উদ্দেশে রওনা হন।
গত মঙ্গলবার রাতে এবং গত বুধবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র লোকজন। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।