রবিবার ● ৭ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটায় ব্যাস্ত সবাই
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটায় ব্যাস্ত সবাই
হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: ঈদ উল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। রমজানের শেষ মুহুর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও থেমে নেই ঈদের বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা। গোলাপগঞ্জে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। ঈদু উল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বাড়ছে। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের ছোট-বড় মার্কেটগুলোতে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। তবে গত কয়েকদিনের শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্নিঝড়ের প্রকোপে কিছুটা ভাটা পড়েছে ঈদের বাজারে।
গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্স দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ঢেউটিন এর দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সব পোশাক। বাজারে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আধুনিক ডিজাইনের সব ধরনের পোশাক রয়েছে। পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি, ফতোয়া, থ্রি-পিস, ট্রপিস ও শিশুদের জন্য সব ধরনের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। পুরুষ ক্রেতাদের তুলনায় নারী ক্রেতাই বেশি। তবে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ফলে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। তবে ক্রেতাদের বক্তব্য শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ও গত বছরের তুলনায় এবার সব পোশাকের দাম একটু বেশি বলে ক্রেতাদের সাধ আর সাধ্যের মাধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও বিক্রি কমছে।
গোলাপগঞ্জের মারজিয়া ফ্যাশনের মালিক বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের যেন পছন্দ হয় এমন সব কাপড় দোকানে তুলেছি। গত কয়েক দিন ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিলো কিছুটা কম। রমজানের শেষ দিকে আসায় ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়তে পারে। তবে গত রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এখন রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেকটা কমে গেছে।
পরিবারসহ কেনাকাটা আসা এক মহিলা বলেন, রোজার শেষ সময় মার্কেটে অনেকে ভিড় থাকে। তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি। তবে দাম গতবছরের তুলনায় অনেকটা বেশি।
বিয়ানীবাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, এবার ইদে ক্রেতাদের উপস্থিত একটু কম মনে হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে সব নতুন কালেকশন দোকানে এনেছি। এখন রমজানের শেষ সময় চলে আসছে তাই বেচাকেনা ভালো হবে আশা করি। তবে কসমেটিক্সে ও জুতার দোকানদারা জানান, বেচাকেনা গত বছরের তুলনায় এবার ভালো হচ্ছে। সময়ের সাথে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে।
এদিকে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে ও বিভিন্ন দোকানের সামনে ভাসমান ভাবে টুপি বিক্রি চলছে জমজমাটভাবে। কাস্টমাররা ভিড় করছেন টুপি, আতর, সুরমা ও জায়নামাজের দোকানে। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য টুপি-আতর, বয়স্কদের জন্য সুরমা এবং জায়নামাজ কিনে নিচ্ছেন তারা। প্রতিটি দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সারি সারি টুপি। এসব টুপির অধিকাংশই দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি। তবে এর বাইরে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা টুপিও রয়েছে। যার মধ্যে পাকিস্তান, তুরস্ক, ভারত, কাশ্মির, চীনের তৈরি টুপি অন্যতম। সেই বিভিন্ন ব্যান্ডের আতরও ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে।