শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রোগী পারাপারের সী-এম্বুল্যান্স না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার সন্দ্বীপবাসী
রোগী পারাপারের সী-এম্বুল্যান্স না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার সন্দ্বীপবাসী
মাহমুদুল হাছান, সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: ছবি দেখে মনে হতে পারে রোহিঙ্গার চর থেকে রোহিঙ্গা পালাচ্ছে কোথাও। এমনটা মনে হলেও, বাস্তবতা হচ্ছে এটা হচ্ছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের নৌ যাতায়ত ব্যাবস্থার চিত্র। বৃহস্পতিবার মুছাপুর ১ নং ওয়ার্ডের আবদুল করিম আলো তার ভূমিষ্ট হওয়া ভাগিনাকে নিয়ে সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টারে জন্ম নেওয়া বাচ্চাটিকে জরুরি মূহর্তে এনআইসিউ তে ভর্তি করাতে বলেন চিকিৎসক। তখন তাক্ষৎনিক তার পরিবার শিশুকে নিয়ে চলে আসে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে গুপ্তছড়া ঘাটে। গুপ্তছড়া ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল এবং সাগর ও ছিল প্রচন্ড উত্তাল। বেলা ১১ টার দিকে ঘাট কর্তৃপক্ষ জানালেন কিছুক্ষণ আগে একটি সার্ভিসবোট ছেড়ে গেছে আরেকটি বোট ছাড়তে দেরি হবে। এমন অবস্থায় চিন্তায় পড়ে শিশুটির স্বজরা। তারা কোন উপায় না পেয়ে ছুটে যায় গাছুয়া ঘাটের দিকে গুলিয়াখালী ঘাট দিয়ে চট্টগ্রামের তীরে এসে পৌঁচলে ও সে খানে এসে তাদের বাচ্চাটিকে নিয়ে দীর্ঘ অনেক কাঁদা পথ পাড়ি দিতে হয়। শিশুটিকে বাচাতে শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন পরিবার। রোগির স্বজনরা বলছেন জরুরি মূহর্তে রোগী পারাপারের সী-এম্বুল্যান্স না থাকায় এমন দুর্ভোগের শিকার আমরা। তাদের প্রশ্ন আর কত ভোগান্তি পোহালে নিরাপদ হবে আমাদের নৌ যাতায়ত। এদিকে ঈদের পর সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম নৌ রুটে শুক্রবার কুমরা গুপ্তছড়া ঘাটে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে নজ থাকায় স্পিড বোট বন্ধ রেখেছে কতৃপক্ষ, এদিকে বিআইডব্লিউটিএর স্টিমার ঈদ উপলক্ষে দুই পাড় থেকে দুই বার করে আসা যাওয়া করলে ও কমিশন এজেন্ট হটাৎ এটি আবার কুমিরা গুপ্তছড়া একটিপ করে জাহাজ চলাচল করবে।
সন্দ্বীপে সড়কে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ জনজীবন
সন্দ্বীপ :: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র এনাম নাহার হাই স্কুলের মোড় থেকে চারদিকে দ্বীপের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম পথ, উপজেলার এ মোড় থেকে গুপ্তছড়া ঘাট পর্যন্ত পশ্চিমে রহমতপুর বীচ সড়কে যানবাহন চলাচলের কারণে অতিরিক্ত ধুলাবালির দূষণে অতিষ্ঠ জনজীবন ও হুমকিতে জনস্বাস্থ্য। মুখে মাস্ক, রুমাল ব্যবহার করেও স্বস্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ অভিযোগ উঠেছে। রাত দিন বেড়িবাঁধের বাহিরে মাটি খেকো প্রভাবশালীরা মাটি দ্বীপের চারদিকে ব্যাবসা করার কারণে মুলত সড়কে ধুলাবালির যন্ত্রণা। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রধান গুপ্তছড়া সড়কের পাশবর্তী উপশহর গুপ্তছড়া বাজারের উত্তর রোড পার্শ্ববর্তীতে অবস্থিত পাবলিক হাই স্কুল ও মগধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, ও শত শত দোকানপাট, অথচ সাধারণ মানুষ এই সড়কে অতিরিক্ত ধুলাবালি উড়ছে। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধা, পথযাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দার আবাসস্থলে বসবাসে অতিষ্ঠ জনজীবন ও হুমকিতে জনস্বাস্থ্য। যানবাহন চলাচলের কারণে অতিরিক্ত ধুলা উড়তে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কে পাশে তাদের আবাসস্থল। অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে স্থানীয় এলাকাবাসীর আবাসস্থলে বসবাস করাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কারণ হিসেবে কতিপয় ক্ষমতাশালী লোক মাটি কেটে বিক্রি করা ও মাটি ভরাট করার কারণে ধুলাবালির যন্ত্রণা অতিষ্ঠ । এই অবৈধ মাটি বিক্রি করতে দিনরাত ট্রাক্টর বেপরোয়ায় প্রধান সড়কে চলাচল করে। এতে প্রচুর বালি সড়কে স্তপ হয়ে পড়তে থাকে। আবাসস্থলও বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধুলাবালির দূষণে সাধারণ মানুষের নানা রোগে সমস্যায় ফেলছে। তাই এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানান তারা। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ধুলাবালিতে বিভিন্ন রোগের জীবাণু থাকে। কমবয়সী ও বেশি বয়সী মানুষের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ধুলাবালি মানব শরীরের ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। এছাড়া সর্দি, কাশি, অ্যালার্জি, টনসিল প্রদাহ, গলাব্যথা, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগ হয়।