মঙ্গলবার ● ৭ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব
রাউজানে কালবৈশাখীর তান্ডব
আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: কালবৈশাখীর তান্ডবে চট্টগ্রামের রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পাশে ও বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। কাপ্তাই সড়কে ৩৩হাজার কেবি বিদ্যুৎ খুটি ভেঙে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো: রোকন উদ্দিন ও বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কয়েকঘন্টা কাজ করে সড়কের গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করেন। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সারা রাউজানে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যায়। ৬ মে সোমবার দুপুরে প্রবল বর্ষণ ও প্রচন্ড জোরে বাতাস বয়ে যায়। রাউজান নোয়াপাড়া সড়ক, দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়ক, হাফেজ বজলুর রহমান সড়কসহ রাউজানের বিভিন্ন এলাকার সড়কের পাশে রোপন করা অনেক ফলজ গাছ ভেঙ্গে যায়। কালবৈশাখীর তান্ডবে অনেক গ্রামে বসত ঘরের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক পরিবারের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে স্থানীয় সূত্রে যানা গেছে। এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদ বলেন, কাল বৈশাখীর তান্ডবে রাউজানে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে কিছু কিছু এলাকায়। কয়েকটি পরিবারের বসতঘর বিধস্থ হয়েছে।
রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় মোঃ মিজান চৌধুরী নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। (৬ মে) সোমবার দুপুর ২টার দিকে রাউজান পৌরসভার জলিল নগরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিজান চৌধুরী রাউজান পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম চৌধুরীর পুত্র। প্রবাস থেকে মিজান চৌধুরী ছুটিতে দেশে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের জলিলনগর এলাকায় টমটম গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে হলে মিজান চৌধুরীর মৃত্যু হয়। নিহত মিজান চৌধুরীর ছোট ভাই ইয়াছিন চৌধুরী ইমন তার ভাইয়ের মৃত্যুতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপহরণকারীদের বোকা বানিয়ে পালিয়ে বাঁচলো স্কুল ছাত্র সাজিদুল
আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতাঃ চট্টগ্রামের রাউজানের চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের এক স্কুল শিক্ষার্থী অপহরণকারীদের হাতে ১৩ ঘন্টা জিম্মী দশা থেকে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে। অপহরণের শিক্ষার্থীর নাম মো.সাজিদুল ইসলাম (১২) সে কদলপুর গ্রামের প্রবাসী মোহাম্মদ ওসমানের ছেলে।
জানা যায় সাজিদ গত ৫ মে রোববার দুপুরে স্কুল ছুটির পর বেরিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে পাহাড়তলী চৌমুহনীতে আসছিল, এসময় অজ্ঞাতনামা এক মেয়ে তার কাছে এসে একটি কাগজ হাতে দিয়ে কাগজে লেখা ঠিকানা জানতে চায়। সাজিদ ছোট লেখার কাগজটি চোখের কাছে নিয়ে পড়তে গিয়ে জ্ঞান হারায়। পরে তাকে অপহরণকারীরা তাকে নিয়ে রাখে রাউজানের কোনো একটি এলাকার একটি ঘরে। ওই ঘরে নেয়ার পর তার জ্ঞান ফিরে পেলে অপরহরণকারীরা তার কাছে তার মা অথবা পরিবারের মোবাইল ফোন নম্বার জানতে চায়। সাজিদ তাদের জানায় কারো ফোন নম্বার তার জানা নাই। এমন প্রশ্ন বার বার করে উত্তর না পেয়ে অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে। পরে তাকে নিয়ে গভীর রাতে টেক্সিতে তুলে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় সাজিদ অপহরণকারীদের বোকা বানিয়ে টেক্সি থেকে লাফ দিয়ে দৌড় দেয়। পরে মুন্সির ঘাটায় এসে এক ব্যক্তির কাছে এসে তার মা ফোন নম্বার দিয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। তখন পরিবারে সদস্যরা সেখানে ছুটে এসে রাত ২টায় তাকে নিয়ে যায়। সাজিদ চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। স্কুল ছাত্র সাজিদ জানায়, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে পথিমধ্যে একটি মেয়ে তাকে একটি কাগজ দিয়ে ঠিকানাটি কোথায় জানতে চায়। কাগজে লেখা ছিল খুবই ছোট। সাজিদ লেখা দেখতে চোখের কাছাকাছি নিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি বেড়ার ঘরে দেখতে পায়। ওখানে তিন যুবক তাকে মায়ের মোবাইল নম্বর দিতে বলে। সাজিদ মোবাইল নম্বর জানে না বললে যুবকরা তাকে মারধর করে। এরমধ্যে তাকে ব্যাপক খোঁজাখুজি শুরু হলে অপহরণকারীরা তাকে ওখান থেকে সিএনজি ট্যাক্সি করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় সাজিদ মুন্সির ঘাটা এলাকায় ট্যাক্সি থেকে কৌশলে লাফ দেয়। এরপর ওখানে একটি দোকানে গিয়ে তার মায়ের মোবাইলে ফোন দেয়। পরিবারের লোকজন ওখান থেকে তাকে রাত দুইটায় নিয়ে আসে।