রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে মাদক বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত
গাজীপুরে মাদক বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার :: ‘মাদককে না বলি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুরে “মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে যুব সমাজের করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাজীপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে মহানগরীর কাজীবাড়ীস্থ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হল রুমে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ খান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ এমদাদুল ইসলাম মিঠুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোঃ মনজুরুল আলম মজুমদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডেপুটি কো-অডিনেটর মোরশেদা বেগম। এছাড়া প্রশিক্ষণ নিতে আসা যুব মহিলা ও পুরুষরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি গাজীপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ এমদাদুল ইসলাম মিঠুন বলেন, মাদক রুখতে যুবকদের একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতির পিতার সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাদককে পরাজিত করতেই হবে। শেখ হাসিনাই একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং ২০৪১ সালের মাঝে ধুমপানমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আর মাদকবিরোধী সিদ্ধান্ত যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে যে কোন বাঁধাই অতিক্রম করা সম্ভব।
তিনি যুবকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ‘মাদক গ্রহণের ফলে ব্যক্তির মস্তিষ্কের রসায়ন পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে তা সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে। নৈতিক বিবেচনাবোধের ক্ষমতা হ্রাস করে এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতি কমে যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ডিপ্রেশন, দুশ্চিন্তাজনিত রোগ, ব্যক্তিত্বের রোগ, ম্যানিয়া ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়। এর ফলে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়, নৈতিক বন্ধন ও মূল্যবোধ দুর্বল হয়ে যায়, চুরি ও জালিয়াতিসহ অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত হয়ে পড়ে। প্রিয়জন ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা প্রায় অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে যৌন নিপীড়নকারীদের প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ মাদক গ্রহণ করে। পারিবারিক সহিংসতায় জড়িত পুরুষদের মধ্যেও প্রায় ৫০ ভাগ মাদক গ্রহণ করে থাকে। খুন বা হত্যার সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ৪৪ ভাগ মানুষও মাদক গ্রহণ করে থাকে।’
সভাপতি জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ খান বলেন, ‘মাদকাসক্তি একটি সামাজিক সমস্যা। মাদক বিষক্রিয়ার মতো মানুষের শরীরে কাজ করে। এটা শুধু ব্যক্তি মানুষকেই নয়, বরং তার পরিবারকেও ধ্বংস করে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে যুবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’