বুধবার ● ২২ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » করেরহাট মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ
করেরহাট মাদ্রাসায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের করেরহাট গনিয়াতুল উলুম হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসায় নৈশ প্রহরী ও নিরাপত্তা কর্মীর শূন্য পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিয়োগ স্থগিত চেয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী প্রার্থী।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগকারী ওই পদের প্রার্থী ও উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ অলি নগর এলাকার ছলিম উল্যাহ’র পুত্র মো. ফারুক হোসেন।
লিখিত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, মিরসরাই উপজেলার করেরহাট গনিয়াতুল
উলুম হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসায় নৈশ প্রহরী ও নিরাপত্তা কর্মীর শূন্য পদে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি: তারিখে নিরাপত্তা কর্মীর পদে আবেদন করি এবং সেই প্রেক্ষিতে সূত্র-১ অনুসারে মাদ্রাসার ফরম্যাটে গত ১২/০৫/২০২৪ খ্রি: তারিখে মাদ্রাসা
কমিটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চিঠি ইস্যু করে। তারই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (১৮মে তারিখে) নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং সকল প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন করি, তবে নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পরও সুনির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়া আমার নিয়োগ আবেদন বাতিল হয়ে যায় এবং সেই স্থানে তড়িঘড়ি করে অন্যজনকে নিয়োগের ঘোষনা দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়া স্থগিত করে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও সার্বিক বিষয়ে যাচাই করে তদন্ত পূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন জানান, একই পদে আমরা ৫জনে পরিক্ষা দিয়েছি। আমি ২০ মার্কের পুরো উত্তর দিয়েছি, যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনি ঠিক মত লিখতেও জানে না। আমাদের রেজাল্ট বের হওয়ার আগেই মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ ঘোষণা করেন এবং কার্যক্রম শেষ করেন ফলে আমি ছাড়াও বাকি প্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমি চাই পরিক্ষার খাতা আবার চেক করা হোক যাতে উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যক্তি চাকরি’টা পায়।
এবিষয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য ডাক্তার জামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অনিয়ম হয়েছে। নিয়োগে আমি বাঁধাও দিয়েছি। যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার বাড়ি এক জায়গায় পড়ালেখা আরেক জায়গায়, তার সার্টিফিকেটও জাল। খাতা মিলিয়ে দেখলে অন্যদের তুলনায় সে দশও পায়না।
মাদরাসা’র অধ্যক্ষ শাহজাহান বলেন, খাতায় যে নাম্বার বেশি পেয়েছে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খাতায় নাম্বার আছে চাইলে চেক করতে পারেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবির খান জানান, নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে মো. ফারুক হোসেন নামের একজন অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি আমরা ক্ষতিয়ে দেখবো। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।