শনিবার ● ১ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠির বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস
ঝালকাঠির বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: গত ২১ মে ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দিন ঝালকাঠির বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ঢাকা মহানগর উত্তারের শ্রমিকলীগের সহসভাপতি শামীম আহমেদ কে হত্যার পরিকল্পনা করে তার প্রতিপক্ষ কুচক্রমহল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ওই দিন সর্বক্ষণ তার সাথে নেতাকর্মীরা থাকায় প্রতিপক্ষের মিশন সফল হয়নি বলে জানাগেছে।হত্যা করে নির্বাচনী সহিংসতা হিসাবে চালিয়ে দেওয়াই ছিলো মুল পরিকল্পনা কিন্তু “রাখে আল্লাহ মারে কে ” এ যাত্রায় বেচে গেলেও হত্যাসহ নানাভাবে তাকে ঘায়েল করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তারের সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শামীম আহমেদ বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে রয়েছে দেশে এসেই জননেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু ভাই কে জানিয়ে সাধারণ ডায়েরিসহ আইগত পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান তিনি। ঝালকাঠিবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে তিনি আরো বলেন আমাকে দীর্ঘদিন ধরে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছে আমার প্রতিপক্ষ চক্র। তাদের এ পরিকল্পনার বিষয়ের যথেষ্ট প্রামান রয়েছে যাহা তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবে বলেও জানান।
বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শামীম আহমেদ ক্ষুদে বার্তায় জানান দীর্ঘদিন ধরে হত্যার পরিকল্পনা করে এ চক্রটি তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের দিন আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বিষয়টি নির্বাচনী সহিংসতা বলে চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে কিন্তু আমার পাশে তিন চারশত নেতাকর্মীরা সর্বক্ষণিক থাকায় তাদের পরিকল্পনা কাজে আসেনি। তবে এ চক্র যে কোন সময়ে আমাকে হত্যা করতে পারে তাই আমি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে রাখলাম। আমি বর্তমানে দেশের বাহিরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছি দেশে ফিরে আমার অভিবভাক আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ চাইবো এবং সাধারণ ডায়েরি সহ আইনগত পদক্ষেপ নিবো। তিনি আরো বলেন আমি আমার পরিবার নিয়ে আতংকে আছি যে কোন মুহূর্তে প্রতিপক্ষরা আমাকে হত্যাসহ বড়ো ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
উল্লেখ্যঃ শামীম আহমেদ কে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে পেরে তার পরিবার আতংকে রয়েছে। বিষয়টি জননেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তার পরিবার।
ঝালকাঠিতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা : আহত-২
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুপিয়ে হত্যা ঝালকাঠিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. মাহফুজ (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহত মাহফুজ হাওলাদার পৌর এলাকার বিকনা গ্রামের ষ্টেডিয়াম এলাকার আমির হাওলাদারের ছেলে। সে পেশায় ইজিবাইক চালক।
হত্যাকান্ডের এই ঘটনা গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহতের “মা” মুক্তা বেগম এবং “বাবা” আমির হাওলাদার। রক্তাক্ত জখম হওয়া আমির ও মুক্তা দম্পত্তিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ভর্তি হয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এতথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি। আহত দম্পত্তি, এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশের সাথে কথা বলে জানাগেছে, আমির হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো তারই চাচাতো ভাই কবির হাওলাদারের সাথে। গত ক’দিন পুর্বে আমির হাওলাদারকে মারধর করেছে ভাই কবির হাওলাদার। ঐসময় বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করেছিলো আমিরের ছেলে মাহফুজ। ঐ ঘটনায় চাচা কবিরের সাথে তর্কেও জড়িয়েছিলো মাহফুজ। সেদিন চাচা কবির হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে গনমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেছিলো মাহফুজ তাকে মেরেছে। যদিও সেই ঘটনায় কবিরের অভিযোগটি জোরালো হয়নি। কিন্তু কবিরের মধ্যে ঘটনার রেশ থেকেযায়। ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই হাসপাতাল থেকে ফিরে শনিবার ১জুন সকাল ১১ টায় কবির তার চার সন্তান, মেয়ে জামাতা এবং নাতীকে নিয়ে হামলা চালায় আমিরের উপর।
আমিরকে মারধরের এক পর্যায়ে স্বামী এবং বাবাকে বাচাতে আসে আমিরের ছেলে মাহফুজ এবং স্ত্রী মুক্তা বেগম। তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করেছে হামলাকারীরা। মাহফুজ ঘটনাস্থলেই মারাযায়। গুরুতর আহত হয় মুক্তা ও আমির। আহতরা জানায় কবির হাওলাদার তার সন্তান সাদ্দাম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, পারুল বেগম, জামাতা মোস্তফা এবং নাতী হাসানকে নিয়ে লাঠিসোটা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী হামলা চালায়।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই হামলাকারী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ ওসি আরো জানান, ‘এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুলিশের উদ্ধোর্ত্ত্বণ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়ারও প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’