বুধবার ● ৫ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » ঢাকা » সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বেনজীর-আজিজদের মেগা দুর্নীতি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে গণভোগান্তির প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বেনজীর-আজিজদের মেগা দুর্নীতি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে গণভোগান্তির প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ
আজ ৫ জুন ২০২৪ সকাল সাড়ে ১১ টায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বেনজীর-আজিজদের মেগা দুর্নীতি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে গণভোগান্তির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এড. হাসনাত কাইয়ুম। সমাবেশ পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া।
সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এড. হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আজিজ, বেনজীররা হাজার হাজার কোটি টাকা বানিয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতেই সরকার তাদের ব্যবহার করেছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে বিচার করার নাটক করছে। আবার সরকারের যোগসাজশেই বেনজীর দেশ থেকে পালিয়েছে। সরকারের মধ্যে আরও শত শত বেনজীর, আজিজ, আনার আছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এরকম হাজার হাজার দুর্বিত্তের জন্ম হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে সরকারের মধ্যে থাকা দুর্বিত্তরা দেশকে ধ্বংস করবে। আর সরকার ক্ষমতা দখল করতে এই দুর্বিত্তদের লালন পালন করেছে। ভবিষ্যতেও তাদের উপর ভর করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চাইবে। যশোরে পুলিশের নির্মম নির্যাতনে একজন মায়ের মৃত্যুর উল্লেখ করে শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এটাই এই মূহুর্তে রাষ্ট্রের চিত্র।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আজিজকে সেনাপ্রধান বানিয়েছে, বেনজীরকে র্যাবের মহাপরিচালক বানিয়েছে, আইজিপি বানিয়েছে। আর এখন বলছে ওরা আমাদের লোক না। সরকারকে বলি, জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আছেন বলে সবাইকে বোকা ভাববেন না। এসব ধান্দা বাদ দিয়ে পদত্যাগ করেন। অর্থনীতি ধ্বংস করেছেন। সামনে আরও খারাপ সময় আসছে। ২০১৪, ১৮ তে টিকে গেছেন। কিন্তু এই দফায় টিকতে পারবেন না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, কেয়ামতের দিন যেমন কেউ কাউকে চিনবে না, ইয়ানফসি ইয়ানফসি করবে। তেমনি এই সরকারও এখন নিজেদের লোকদের দায় অস্বীকার করছে। সরকারের মধ্যে ইয়ানফসি ইয়ানফসি শুরু হয়েছে। নিজেদের লোকরাও এই অবৈধ সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারছে না।ক্ষমতার খুঁটি নড়ে গেছে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, বেনজীর-আজিজ তাদের দলের কেউ না। কিন্তু দেশের সবাই জানে, সারা পৃথিবীই জানে, এদের গডফাদার কারা। এদের দিয়েই আওয়ামী লীগ টানা ৩ বার ক্ষমতা দখল করেছে। ইন্টারপোলের লাল তালিকাভূক্ত মাফিয়া আনারই নাকি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা। এদের দিয়েই এখন এই দলটা চলে। ভারতের নির্বাচনে জনগণের জয় হয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। সেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। আমাদের দেশে আওয়ামী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাই ধ্বংস করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে আজিজ, বেনজীরের মত শত শত দুর্বিত্তের জন্ম দিয়েছে। তাদের দিয়েই ক্ষমতা দখল করেছে, টিকিয়ে রেখেছে। এই সরকার দুর্বিত্তদের লালন করে। দেশের খেটে খাওয়া জনগণ, প্রবাসী শ্রমিকদের শোষণ করে সরকার আজিজ, বেনজির, দরবেশ, এস আলম, আনারদের হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে না পারলে দেশকে, দেশের জনগণকে বাঁচানো যাবে না।