সোমবার ● ১০ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে রাউজানের হালদা পাড়ার হাজার হাজার মানুষের
বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে রাউজানের হালদা পাড়ার হাজার হাজার মানুষের
আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে রাউজানের হালদা পাড়ার হাজার হাজার মানুষের। ভাঙানে পড়ে নর্দীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ী ও ফসলি জমি গুলো চলে যাচ্ছে হালদা নদীর পেটে। দেখা গেছে নদীর তীরে বসবাসকারীদের মধ্যে হাটহাজারী অংশের মানুষদের জন্য পাথর ব্লকে বসিয়ে নিরাপদ করা হলেও নদীর রাউজানের অংশে অনেক এলাকার মানুষ এখন ভাঙ্গনে পড়ে বাড়ি ঘর হারানোর শংকার মধ্যে রয়েছে। নদীর পাড়ের অনেক বসতি আছে যেগুলো সমাগত বর্ষায় নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার অবস্থায় ঠেকেছে। সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনে দেখা গেছে, হাটহাজারী অংশের ভাঙ্গন কবলিত মানুষকে সুরক্ষা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে পাথর ব্লক। নদীর ভাঙ্গন রোধে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে দীর্ঘ বেরি বাঁধ। সেই হিসাবে রাউজানের নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের সুরক্ষায় তেমন কোনো বড়সর উদ্যোগ বা কাজ হয়নি। কয়েকটি এলাকায় সামন্য অংশে পাথর ব্লক দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড হাত গুটিয়ে ফেলেছে। রাউজান উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম সীমানা থাকা নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কছুখাইন এলাকায় কর্ণফুলী নদীর সংযোগ হয়ে হালদা বয়ে গেছে নোয়াপাড়া, উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, বিনাজুরী হয়ে রাউজান পৌর এলাকা গহিরা, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের কিনারা ঘেঁষে ফটিকছড়ির দিকে। পৌরসভার দুটি ওয়ার্ড ও রাউজানের ছয়টি ইউনিয়নের পাশ ঘেঁষে থাকা এই নদীর পাড়ে বসবাস করেন কয়েক হাজার পরিবার। এখানে বসবাসকারীরা বলেছেন, বছরের পর বছর ভাঙ্গনে পড়ে তাদের বাপ দাদার আমলের বাড়িঘর জায়গা সম্পত্তি নদী গর্ভে হারিয়েছেন। ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় দফায় দফায় পিছনে আসতে আসতে এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। শেষ আশ্রয়স্থল এখনো যা জায়গা টুকু রয়েছে সেগুলো যদি নদীর গর্ভে চলে যাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাযাবর হয়ে বাঁচতে হবে। দীর্ঘ নদী পাড়ে দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া, সাকরদা, উরকিরচরের মইশকরম, নাপিতেরঘাট, পশ্চিম গুজরার আজিমের ঘাট, পৌর এলাকার পশ্চিম গহিরা, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের কিছু অংশে খন্ড খন্ড ভাবে পাথও ব্লক বসিয়ে সুরক্ষা দিয়েছে। এই পাথর ব্লকে কিছুবাড়িঘর নিরাপদ হলেও এখনো নদী পাড়ে কয়েক হাজার পরিবার ভাঙ্গন কবলে থেকে গেছে। তবে হালদা নদীর পাড়ে থাকা নোয়াপাড়া, উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, বিনাজুরী, নোয়জিশপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভার গহিরার দুটি ওয়ার্ড এর বেশিরভাগ এলাকা ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে। এবং তারা ব্যাপক ঝুঁকিতে আছেন। এলাকার লোকজন বলেছেন প্রতিবছর হালদার ভাঙ্গনে পড়ে অনেক পরিবার ঘর বাড়ি হারিয়েছেন বলে জানান।