

বৃহস্পতিবার ● ২৭ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চুয়েটে ধানের তুষ থেকে সিমেন্টের বিকল্প শীর্ষক সেমিনার
চুয়েটে ধানের তুষ থেকে সিমেন্টের বিকল্প শীর্ষক সেমিনার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর গবেষনা প্রকল্পের উদ্যোগে পুরকৌশল বিভাগে “ধানের তুষ থেকে সিমেন্টের বিকল্প” শীর্ষক সেমিনার সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার ২০২৪ বেলা সোয়া ১টায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার।
অনুষ্ঠানে ব্যানবেজ প্রজেক্ট এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম ও কো-প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন ইনস্টিটিউট অব আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম।
অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিদুল আলম ও সাদিয়া সুলতানা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষনা সহকারী নাদিরা ইসলাম নীলা। প্রবন্ধের মূল বিষয় ছিলো- বিশ্বব্যাপী সিমেন্ট তৈরী করতে ৭ থেকে ১০ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ হয়। অপরদিকে ধানের তুষ পরিবেশে রেখে দিলে তা সহজে পঁচে না। যে কারণে ধানের তুষকে পুড়িয়ে ছাঁই করে সেই তাপ ব্যবহার করে ধান সিদ্ধ করা যায়। এর প্রেক্ষিতে যে ছাঁই তৈরী হয়, সেই ছাঁই থেকে ন্যানো সিলিকা তৈরী করে সিমেন্টের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার জন্য গবেষণাগারে পরীক্ষা করে চমৎকার কিছু ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের চারপাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অনেক উপাদান আছে, সেই উপাদানগুলোকে চিহ্নিত করে কাজে লাগাতে হবে। ধানের তুষ থেকে সিমেন্ট ব্যবহারের এই নতুন উদ্ভাবনীকে আমি সাধুবাদ জানাই। এ ধরণের গবেষণা কার্যক্রম দেশের উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।