শুক্রবার ● ২৮ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে নিখোঁজ জেলে মহিদুল শেখের লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটে নিখোঁজ জেলে মহিদুল শেখের লাশ উদ্ধার
এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেলে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে নৌকা ডুবে মহিদুল শেখ নামের এক জেলে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী ক্যানেলের পশ্চিম পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মোংলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত মহিদুল শেখ মোংলা উপজেলার উলুবুনিয়া এলাকার আ. রশিদ শেখের ছেলে।
মোংলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম বলেন, সকালে মাদ্রাসা রোডের পশ্চিম দিকের মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলে তার মরদেহ ভেসে উঠে। পরে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট প্রেরণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলের জয়খাঁ এলাকায় এলপিজি পরিবহনকারী একটি জাহাজের পাখার সঙ্গে দড়ি পেঁচিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা জেলে তারিকুল সাঁতরে কুলে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন মহিদুল শেখ।
বাগেরহাটে আগুনে ২০টি দোকান পুড়ে ছাই দুই কোটি টাকা ক্ষতি
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা বাজার পাঁচ রাস্তার মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে আকস্মিক এ আগুনে বাজারের মিষ্টির দোকান, মুদি দোকান, ফার্মেসি, ইলেকট্রনিকস, প্লাস্টিক পণ্যসহ ২০টি দোকান পুড়ে ছাই দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা ও রাত ১১ টার দিকে মুষলধারের বৃষ্টি শুরু হলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পরে মধ্যে রাত ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
রায়েন্দা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল জানান, আগুনে বাজারের মিষ্টির দোকান, মুদি দোকান, ফার্মেসি, ইলেকট্রনিকস, প্লাস্টিক পণ্যসহ অন্তত ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে তাদের অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুরুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ হিসেবে ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতিকে দায়ী করেন তিনি। একই সঙ্গে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।