রবিবার ● ৭ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » ঢাকা » কোটা সংস্কার কোন আইনী বিষয় নয়, এটা মূলগতভাবেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়
কোটা সংস্কার কোন আইনী বিষয় নয়, এটা মূলগতভাবেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে আর পানি বেশী ঘোলা না করে অবিলম্বে দেশব্যাপী আন্দোলনরত ছাত্র তরুণদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, সরকারি চাকুরীতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিটি এখন গণদাবিতে পরিনত হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের অজুহাত দিয়ে কোটা সংস্কারের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়টি কোন আইনী সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, এটা মূলগতভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। একারণে ২০১৮ সালে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই সরকার কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারী ছাত্র তরুণেরা কেউই কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার কথা বলেনি, এখনও কেউ বলছেনা। দাবি হচ্ছে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা। একইসাথে পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোটা ব্যবস্থাও প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা করে পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, চাকুরীর ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতা যে প্রধান বিবেচনা এটা নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন তোলা বা বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই।তিনি বলেন, মেধা ও যোগ্যতাকে মানদণ্ড ধরে সমগ্র কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা এখন জরুরী হয়ে পড়েছে।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র তরুণ তথা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোন সরকার ছাত্র তরুণদের আন্দোলনের মুখে এরকম নির্বিকার থাকতে পারেনা।
তিনি সরকার ও সরকারি দলকে জেদ, দম্ভ ও উন্নাসিকতা পরিহার করে দ্রুত কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেবার আহবান জানান, যাতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাসরুমে ফিরতে পারে।
একইসাথে তিনি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রতিও নৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেয়া ‘প্রত্যয়’ পেনশন স্কীম প্রত্যাহার করারও দাবি জানান।