শনিবার ● ১৩ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে শিক্ষক আহমেদ হোছাইনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
রাঙামাটিতে শিক্ষক আহমেদ হোছাইনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
মিকেল চাকমা :: রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আহমেদ হোছাইন এর বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পুষ্পিতা চাকমার অভিযোগ শিক্ষক আহমেদ হোছাইন যে রুমে নিয়মিত বসেন ৪/৫ বার তাকে ডেকে নিয়ে যায় বিনাকারণে সেখানে বসে থাকতে বলে এবং নানারকম অপ্রীতিকর কথাবার্তা বলে। সর্বশেষ একদিন স্যার আমাকে রুমে যেতে ডাকে। তখন আমি আমার বান্ধবী পরান্তি,তুনিয়াকেসহ রুমে যায় ।ঐসময় বান্ধবীদের সামনে আমাকে হাতধরে টানাটানি করে কোমরে হাত দেয় এটি আমার কাছে খারাপ লেগেছে। এখন আমি বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছি।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বান্ধবী পরান্টি চাকমা বলেন,স্যার যখন পুষ্পিতা কে ডাকে তখন আমি ও যায়। তখন স্যার বলেছিল একজনকে ডেকেছি তোমরা এতজন আসছ কেন। পরে স্যার পুষ্পিতা কে হাতে ধরে টানাটানি করে এবং কোমরে হাত দেয়। এরপর স্যারে বিষয়টি কাউকে না বলতে নিষেধ করেছে। ভুক্তভোগীর বড়বোন কবিতা চাকমা বলেন,আমার ছোট বোনের সাথে শ্রেনী শিক্ষক আহমেদ হোছাইন যে আচরণ করেছে তা খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বরাবর গত ৮জুন ২০২৪ ইংরেজি তারিখে লিখিত অভিযোগ করি।
প্রধান শিক্ষকের নিকট সুবিচার না পাওয়ায় আমাদের বাবাসহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক আমার ছোট বোনকে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য আমাকে মেসেঞ্জারে নক দেয়। ভুক্তভোগীর পিতার অভিযোগ আমার মেয়ের সাথে একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ কখনো আশা করিনি। মেয়েসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তি দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আহমেদ হোছাইন ছাত্রীর যৌন হয়রানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ডিসি স্যার এডিসি স্যারকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করেছে। দেখি তারা কি বের করতে পারে। তদন্ত রিপোর্ট আসলে বলতে পারবো আমার ছাত্রীরা কেন আমার বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলছে। রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরিৎ কুমার চাকমা বলেন, সহকারী শিক্ষক আহমেদ হোছাইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি মুলক অভিযোগ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী পুষ্পিতা চাকমার অভিভাবক আমার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে। তারা আমার বিচারে সন্তুষ্ট না হয়ে ডিসি স্যারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কমিটিতে আমিও আছি।
গত ৯জুলাই এডিসি বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এখনো তদন্ত চলছে বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা বলেন,যৌন হরয়ানিমূলক একটা অভিযোগ পেয়েছি। ডিসি স্যার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। তদন্ত কমিটিতে আমিও আছি বিষয়টি এখনো তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।