শুক্রবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » আবাসন নির্মাণের জন্য খাল-বিল-নদী-নালা বরাদ্দ দেওয়া যাবে না : সুপ্রদীপ চাকমা
আবাসন নির্মাণের জন্য খাল-বিল-নদী-নালা বরাদ্দ দেওয়া যাবে না : সুপ্রদীপ চাকমা
খাগড়াছড়ি, ২৩ আগস্ট ২০২৪ :: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বাংলাদেশের খাল, বিল, নদী-নালা ও শষ্যক্ষেতগুলোতে কোনোভাবেই আবাসন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।
আজ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে খাগড়াছড়ির প্রশাসন, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও ছাত্র জনতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এবারের অপ্রত্যাশিত বন্যা আমাদের যে ক্ষতি করলো তা থেকে সকলকে শিক্ষা নিতে হবে। তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বন্যার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন- বাংলাদেশের নদী, খাল-বিল, ধান ক্ষেত ভরাট করে যেভাবে আবাসন নির্মাণ করা হচ্ছে, তা আমাদের জন্য অত্যন্ত ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বর্ষণ হলেই এখানে পানি জমে বন্যা হচ্ছে। উপদেষ্টা বলেন, ধানক্ষেতের উপর মহিলা কলেজ নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ নির্বাচন করা মোটেই উচিত হবে না। আলুটিলার উঁচু জায়গায় মহিলা কলেজ নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্যবাসীদের স্বাবলম্বি করতে পার্বত্য তিন জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এখানে অর্থকরী ফসল হিসেবে কাজু বাদাম ও ইক্ষুর চাষ বাড়ানো হবে। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষায় নদী, নালা, ঝিরিগুলোর পানির প্রবাহ ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান। সভায় সার্বিক উন্নয়ন, নিয়োগ, দূর্নীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িতদের অভিনন্দন এবং নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেক জেলায় ২ জন করে ছাত্র প্রতিনিধি রাখা হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এসময় এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম, সুশীল নাগরিক সুদিন কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ত্রিনা চাকমা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জাহিদুল আলম ও মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন।