শনিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটের সুন্দরবনের উপকূলীয় পানগুছি নদী থেকে মৃত ডলফিন উদ্ধার
বাগেরহাটের সুন্দরবনের উপকূলীয় পানগুছি নদী থেকে মৃত ডলফিন উদ্ধার
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির ,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদী থেকে জোয়ারের পানিতে ভেসে আশা একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছে জেলেরা। শুক্রবার পুরাতন থানা নদীর তীরবর্তী খেয়াঘাট এলাকা থেকে। উদ্ধারকৃত মৃত ডলফিনের ওজন ৮ কেজি বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকৃত জেলে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ড বারইখালী গ্রামের বাসিন্দা কবির হোসেন ও মো. সোহেল জয় জানান, বাড়ির সামনে নদীরঘাটে জাল তুলতে গেলে দূর থেকে কালো রংয়ের একটি প্রাণী ভেসে আসছে দেখে হাটু পানিতে নেমে কুলে উঠিয়ে দেখা যায় প্রাণীটি হল মৃত ডলফিন।
স্থানীয় লোকজন ডলফিনটিকে দেখতে ভীড় জমায়। ডলফিনটির ওজন ৮ কেজি। পরবর্তীতে মৃত ওই ডলফিনকে মাটি চাপা দেয় স্থানীয়রা।
মোরেলগঞ্জে পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঢুকে তান্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর করে চেয়ারম্যান, সচিবের অফিস কক্ষসহ ৫টি রুমে তান্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাদ যায়নি পাচঁগাও পুলিশ ফাঁড়ির কার্যালয়। এ হামলায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার ১৮দিন অতিবাহিত হলেও নিরাপত্তাহীনতায় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার আসছে না পরিষদে। বিকল্প ব্যবস্থায় নাগরিক সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় ইউপি সচিব বাদি হয়ে উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার (ডিডি এলজি) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে গত ৫ আগষ্ট বিকেলে ও তার পরের দিন ৬ আগষ্ট দু’দফায় ৪০/৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পরিষদের বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ঘন্টাব্যাপী তান্ডব চালিয়ে চেয়ারম্যানের অফিস কার্যালয়, ইউপি সচিবের কক্ষ, গ্রাম্য আদালত অফিস কক্ষ, উদ্যোক্তা কক্ষ, বিশ্রামাগার কক্ষ, অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির কক্ষ, পরিষদের একই ভবনের ৫টি রুমে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর তছনছ করে এ সময় অফিসের ব্যবহৃত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার মেশিন, আলমিরা, শতাধিক চেয়ার, টেবিল, আসবাপপত্র, সিলিং ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল ভেঙ্গে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতিস্বাধন করে।
এ সর্ম্পকে পঞ্চকরণ ইউপি সচিব মো. সিরাজ শেখ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে হামলায় ভাংচুরকৃত কক্ষগুলোর ২টি কক্ষে দরজা জানালা কোন মতে সংস্কার করে ২০ আগষ্ট থেকে নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলামের উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কম্পিউটার না থাকায় অনলাইনসহ প্রিন্টারের কাজ আপাতত করা যাচ্ছে না। কোন মতে হাতে লিখে পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, এ ইউনিয়নে বিগত ৭ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে জনগনের পাসে থেকে সেবা দিয়ে আসছি। ইতোপূর্বে পরিষদে এ ধরনের সহিংস হামলা কখনও ঘটেনি। সরকারি সম্পদ ধংস করে জনগনকে সেবা থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি নিজেও নিরাপত্তাহীনতার আশংকায় রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ নির্বাহী অফিসার, পুলিশ প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তিনি পরিষদের কক্ষগুলো সংস্কারসহ জনগনের সেবা নিশ্চিত করে পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।