সোমবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ঈশ্বরগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের অনাস্থা
ঈশ্বরগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের অনাস্থা
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনিসংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাদির আহাম্মেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইউপি সদস্যগণ। অভিযোগে ১০জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। ওই অভিযোগে পরিষদের সকল সদস্যসহ ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও নানা প্রকল্পে চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
ইউপি সদস্যের লিখিত অভিযোগ সুত্রে অভিযোগে জানা যায়, সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাদির আহাম্মেদ ভূঁইয়া নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি, লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, হাটবাজার, ১% খাতের অর্থ নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন। ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নকল করে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ তার পছন্দের ব্যাক্তিদের দিয়ে দেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউপি সদস্যরা পরিষদ থেকে তাদের প্রাপ্ত সম্মানী পাচ্ছেন না বলেও চেরম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি তার ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা না করেই পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং ভুয়া রেজুলেশন করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সরকারি অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন গ্রামে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত লোক দিয়ে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ঘুষ গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
ইউপি সদস্য মোকসেদ আলী বলেন, নির্বাচিত হয়ে আড়াই বছর পার করলেও পরিষদ থেকে তাদের প্রাপ্ত সম্মানী তারা পাচ্ছেন না। ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
আরেক ইউপি সদস্য নাছিমা খাতুন বলেন, পরিষদে আমাদের কোন মূল্যায়নই করেন না চেয়ারম্যান। সব কাজে তিনি আমাদের বৃদ্ধাআঙুলি দেখান।
সোহাগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কাদির আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ইউপি সদস্যদের অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে, তারমধ্য এটাও একটা ষড়যন্ত্র।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার বলেন, ইউপি সদস্যদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিটি অনিয়ম সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করে অভিযোগ দিতে বলেছি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।