বৃহস্পতিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ঈশ্বরগঞ্জে চালের মূল্য বৃদ্ধি ক্রেতা সাধারণ বিপাকে
ঈশ্বরগঞ্জে চালের মূল্য বৃদ্ধি ক্রেতা সাধারণ বিপাকে
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ঈশ্বরগঞ্জের চালের বাজার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা সাধারণ পড়েছে চরম বিপাকে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, সর্বাধিক বিক্রিত আটাশ উনত্রিশ ও মোটা জাতের চালের বাজার দর হঠাৎ বেড়ে গেছে।
উপজেলা সদর বাজারের বড় চাল ব্যবসায়ী আব্দুর রাশিদ ও এবাদুল ইসলাম জানান, ১২ই আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চালের বাজার দর স্থিতিশীল ছিল। ২৭ আগস্ট থেকে আকস্মিক ভাবে আটাশ ও উনত্রিশ জাতের ২৫ কেজি ওজনের ১ বস্তা চালের মূল্য ১২শ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪শ ২০টাকা। ৫০ কেজি মোটা চালের বস্তা ২২শ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩শ ৫০টাকা। আটাশ ও উনত্রিশ জাতের বস্তা প্রতি বেড়েছে ১শ ৭০টাকা এবং মোটা বস্তা প্রতি বেড়েছে ১শ টাকা। হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ পড়েছে বিপাকে। বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেছেন ধান বাজার দর সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি চালের বাজার দরের ওপর একটু প্রভাব পড়েছে। অপরদিকে মিলারদের কারসাজি থাকতে পারে বলে মনে করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এবিষয়ে ইসমাঈল অটো রাইস মিলের মালিক ইসহাক মিয়া জানান, আমার মিলে দৈনিক ১৪শ থেকে ১৫শ বস্তা ধানের প্রয়োজন। কিন্তু বিভিন্ন মোকাম ঘুরে ৩শ বস্তা ধানও সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। যার ফলে মিলের শ্রমিকদের বিদায় দিয়ে চাল উৎপাদান বন্ধ করে বসে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান ধানের বাজার দর অনুযায়ী ৫০কেজি চাল উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ২৯শ ৮৫টাকা আর বর্তমান চালের বাজার দর অনুযায়ী বিক্রি করতে হচ্ছে ২৭শ ৬০টাকা। অর্থাৎ উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি ৫০কেজি বস্তায় আমাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে ২শ ২৫ টাকা। এখানে মিলারদের কারসাজির কোন সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি ৩০ টাকা কেজি দরে ডিলারদের মাধ্যমে যে চাল বিক্রি করা হতো তা এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এটা চালু থাকলে চাল বাজার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম ছিল। তবে সরকারি ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চাল বিক্রি হতে পারে এতে নিন্ম আয়ের মানুষ উপকৃত হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিন সাত্তার জানান, চালের বাজার দর যাতে অস্থিতিশীল না হয় সে জন্য বাজার তদারকি জোরদার সহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হতে পারে।